রায়পুরের কারাবন্দি পিআইও বরখাস্ত হবে না ?

প্রতিবেদক : এমএন /আর
প্রকাশিত: ১০ মার্চ, ২০১৮ ৭:৫৩ অপরাহ্ণ

নিজস্ব প্রতিবেদক: কারাবন্দি লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) মোঃ দেলোয়ার হোসেনকে বরখাস্তের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে না। প্রকল্পের অর্থ আত্মাসাৎ মামলায় দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) তাকে ৩ ফেব্রুয়ারি গ্রেপ্তার করেছিল। অদৃশ্য কারণে তাকে বরখাস্ত করার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ উঠেছে। এনিয়ে ওই কার্যালয়ের স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে।

জেলা ত্রাণ ও পূর্ণবাসন কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্র জানায়, দেলোয়ার হোসেন লক্ষ্মীপুর কারাগারে থাকায় ১৯ ফেব্রুয়ারি রামগঞ্জের পিআইও বোরহান উদ্দিনকে রায়পুরের অতিরিক্ত দায়িত্ব দেওয়া হয়। তিনি বর্তমানে দায়িত্ব পালন করছেন।

সূত্র জানায়, সরকারি চাকরি বিধি মোতাবেক কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারীর বিরুদ্ধে যদি অভিযোগপত্র (চার্জশীট) গঠন হয় এবং আটক বা গ্রেপ্তার হন, তাহলে তিনি বরখাস্ত হবেন। সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবেন।

১০ নম্বর রায়পুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শফিউল আজম চৌধুরী সুমন বলেন, কারাগারে থাকা পিআইও দেলোয়ার হোসেন জামিনে বেরিয়ে যেন জবাবদিহিতা ছাড়াই স্বপদে বহাল থাকতে পারেন তার জন্য তৎপরতা চলছে। অদৃশ্য কারণে তাকে বরখাস্ত করার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে না। ফলে এ ক্ষেত্রে নিয়মের ব্যত্যয় ঘটছে।

এ ব্যাপারে বক্তব্য জানতে জেলা ত্রাণ ও পূর্ণবাসন কর্মকর্তার দায়িত্বে থাকা মোঃ নাজমুল হাসান সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
তবে ওই কার্যালয়ের একটি দায়িত্বশীল সূত্র জানিয়েছে, বিষয়টি মন্ত্রণালয়কে জানানো হয়েছে। পরবর্তী করণীয় সেখানে নির্ধারণ হবে। এছাড়া দুদক আনুষ্ঠানিকভাবে তাদেরকে কিছুই জানাননি বলে দাবি করা হয়।

প্রসঙ্গত, রায়পুরের পিআইও-কে গ্রেপ্তারের পর দুদকের রাঙ্গামাটি সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক সৈয়দ নজরুল ইসলাম জানিয়েছিলেন, জেলেদের চাল ও রাস্তার কাজ না করে টাকা আত্মাসাৎ করার ঘটনায় ২০১১ সালের ১৯ জুলাই ও পরের বছরের ২৭ মার্চ রাঙ্গামাটির লংগদু উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে পৃথক দুইটি মামলা করা হয়। এসব মামলায় তদন্ত শেষে তার বিরুদ্ধে আদালতে  অভিযোগপত্র (চার্জশীট) দাখিল করে দুদক।

মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন