লক্ষ্মীপুরে মাটির নিচে মিলল হেলিকপ্টারের ধ্বংসাবশেষ

প্রতিবেদক : এমএন/ এমএস
প্রকাশিত: ৩০ ডিসেম্বর, ২০২২ ৬:২৫ অপরাহ্ণ

নিজস্ব সংবাদদাতা: লক্ষ্মীপুরে মাটি কাটার সময় বিধ্বস্ত হেলিকপ্টারের ধ্বংসাবশেষ (পাখার একাংশ) পাওয়া গেছে। সদর উপজেলার হাজিরপাড়া ইউনিয়নের বড় বল্লভপুর গ্রামে ইটভাটার জন্য একটি ক্ষেতে মাটি কাটার সময় এটি পাওয়া যায়। এটি নিয়ে স্থানীয়দের মাঝে কৌতূহল সৃষ্টি হয়।

এদিকে কেউ বলছেন- এটি ব্রিটিশ আমলের। আবার কেউ বলছেন- মুক্তিযুদ্ধকালীন বিধ্বস্ত হেলিকপ্টারের ধ্বংসাবশেষ এটি। পাখাটির ছবি স্থানীয়রা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে দেন।

স্থানীয় মা ব্রিকসের কর্মকর্তা মুরাদ হোসেন উদ্ধার হওয়া পাখাটি ১ হাজার ৬০০ টাকায় ভাঙারি ব্যবসায়ীর কাছে বিক্রি করে দেন। শুক্রবার (৩০ ডিসেম্বর) সকালে বিক্রির বিষয়টি মুরাদ নিজেই সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেন। তবে তিনি এ নিয়ে কোনো কথা বলতে রাজি হননি।

অন্যদিকে হেলিকপ্টারের ধ্বংসাবশেষটি ইতিহাসের সাক্ষী বলে মনে করে সচেতন মহল। স্থানীয়রা জানান, উদ্ধার হওয়া পাখার অংশটি বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে।

স্থানীয় বাসিন্দা রুহুল আমিন ও আফজাল হোসেনসহ কয়েকজন জানান, উদ্ধার হওয়া পাখাটি তারা দেখেছেন। রোটারসহ পাখার একাংশ পাওয়া গেছে। বৃহস্পতিবার (২৯ ডিসেম্বর) বিকেলে ইটভাটার জন্য মাটি কাটার সময় এটি উদ্ধার হয়। পরে ইটভাটার লোকজন তা নিয়ে যায়। পাখাটি ব্রিটিশ আমলের অথবা মুক্তিযুদ্ধের সময়ে বিধ্বস্ত হেলিকপ্টারের ধ্বংসাবশেষ হতে পারে।

মা ব্রিকসের মালিক খোরশেদ আলম সুমন বলেন, আমি ঢাকি আছি। উদ্ধার হওয়া পাখাটি আমাদের হেফাজতে আছে। অফিস চলাকালীলে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে পৌঁছে দেব।

হাজিরপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শামছুল আলম বাবুল বলেন, উদ্ধার হওয়া পাখাটি আমি ফেসবুকে দেখেছি। ঘটনাস্থলে যাওয়া হয়নি। এটি ব্রিটিশ আমলের হতে পারে।

চন্দ্রগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তহিদুল ইসলাম বলেন, ঘটনাটি আমার জানা নেই। কেউ আমাকে জানায়নি। খোঁজ নেওয়া হচ্ছে।

লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ইমরান হোসেন বলেন, ঘটনাটি আমি জেনেছি। থানার ওসিকে হেলিকপ্টারের পাখাটি উদ্ধারের জন্য বলা হবে। দ্রুত সময়ের মধ্যেই এটি উদ্ধার করা হবে।

মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন