৯৯৯-এ ফোন: ৩ ঘণ্টায় ২ অপহরণকারী আটক

প্রতিবেদক : এমএন /আর
প্রকাশিত: ১৮ জানুয়ারি, ২০১৯ ৩:০৪ অপরাহ্ণ

জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বর থেকে ফোনের মাধ্যমে অভিযোগ পেয়ে অভিযুক্ত দুই অপরহণকারীকে পুলিশ রাজধানী থেকে গ্রেফতার করেছে। অভিযোগের তিন ঘন্টার মধ্যে আটককৃত অভিযুক্তরা হলেন, তৌফিকুর রহমান (২৫) ও শরিফুল ইসলাম (২৬)।

ধানমন্ডি থানা পুলিশ ভুক্তভোগী শহীদুল ইসলামের (৪০) শ্যালক গোলাম সরওয়ারের ফোনে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে অভিযুক্তদের আটক করে।

ধানমন্ডি থানা পুলিশ জানায়, আটকের পর পাঁচদিন রিমান্ড চেয়ে দুই আসামিকে আদালতে সোপর্দ করা হলে শুনানি শেষে আদালত একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

 

এ প্রসঙ্গে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এর পুলিশ সুপার মো. তবারক বলেন, ‘বুধবার (১৬ জানুয়ারি) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে একটি ফোন আসে। ফোনে শহীদুল নামের এক ব্যক্তিকে অপহরণের অভিযোগ করা হয়। বিষয়টি আমরা দ্রুত ধানমন্ডি থানায় জানিয়ে দিয়ে ব্যবস্থা নিতে বলি। ১০ মিনিটের মধ্যে পুলিশ অভিযোগকারীর সঙ্গে যোগাযোগ করে এবং তিন ঘণ্টার মধ্যে পুলিশ অভিযুক্ত দুইজনকে গ্রেফতার করতে সমর্থ হয়।’

 

এ বিষয়ে ভুক্তভোগী শহীদুলের শ্যালক গোলাম সরওয়ার বলেন, দুলাভাই কুমিল্লা থাকেন ও ব্যবসা করেন। লিভারে অসুস্থতা নিয়ে তিনি বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে ইনজেকশন নেয়ার জন্য ধানমন্ডির একটি বেসরকারি হাসপাতালে যান। হাসপাতালের ছয়তলা থেকেই অপহরণকারী তাকে নিচে নিয়ে আসেন। পরে কালো মাইক্রোবাসে উঠিয়ে নিয়ে যান।

 

তিনি জানান, শহীদুলের কাছে থাকা ৪৫ হাজার টাকা ও ৫০ হাজার টাকার একটি চেক কেড়ে নেয় অপহরণকারীরা। পরে আসামিরাই শহীদুলের মুঠোফোন থেকে তার শ্যালক গোলাম সরওয়ারকে ফোন করে ৬ লাখ ৩০ হাজার টাকা মুক্তিপণ চান। টাকা না দিলে শহীদুলকে হত্যা করা হবে বলে হুমকি দেয়া হয়।

 

অপহরণকারীরা মুক্তিপণ চাওয়ার পর গোলাম সরওয়ার ‘৯৯৯’-এ ফোন করে পুরো ঘটনা পুলিশকে জানান। ফোন করার ১০ মিনিটের মাথায় পুলিশ বাহিনীর সদস্যরা তার সঙ্গে যোগাযোগ করেন।

 

ধানমন্ডি থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আবদুস সবুর খান বলেন, ‘ফোন পেয়ে তারা ভুক্তভোগী শহীদুলকে উদ্ধারে অভিযান শুরু করেন। রাত সাড়ে ৯টার দিকে তাকে উদ্ধার করা হয়। এ সময় অপহরণকারী চক্রের সদস্য তৌফিকুর ও শরিফুলকে গ্রেফতার করা হয়।’

 

প্রসঙ্গত, বিগত বছরের ১২ ডিসেম্বর ফায়ার সার্ভিস, অ্যাম্বুলেন্স ও জরুরি পুলিশি সেবা পেতে জাতীয় হেল্প ডেস্ক হিসেবে ‘৯৯৯’ নম্বরটি আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়। বিনা খরচে ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে নাগরিকেরা পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও অ্যাম্বুলেন্সের সেবা নিতে পারবেন। মুঠোফোন ও টেলিফোন উভয় মাধ্যমে ৯৯৯ নম্বরে ফোন করা যাবে। কোনো অপরাধ ঘটতে দেখলে, প্রাণনাশের আশঙ্কা দেখা দিলে, কোনো হতাহতের ঘটনা চোখে পড়লে, দুর্ঘটনায় পড়লে, অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটলে, জরুরিভাবে অ্যাম্বুলেন্সের প্রয়োজন হলে সাহায্য চাওয়া যাবে ওই নম্বরে ফোন করে ।

মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন