রায়পুরে মাছ ঘাট নিয়ে আ.লীগের দু’পক্ষের সংঘর্ষ

প্রতিবেদক : এমএন /আর
প্রকাশিত: ১০ মে, ২০১৯ ৮:০৫ অপরাহ্ণ

লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে মেঘনা নদীর তীরের একটি মাছ ঘাট দখল নিয়ে আওয়ামী লীগের দু’পক্ষের সংঘর্ষ হয়েছে। এতে উভয়পক্ষের অন্তত ১৫ জন আহত হয়।

উপজেলার উত্তর চরবংশী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি আলতাফ হোসেন হাওলাদার ও ইউনিয়ন কমিটির বর্তমান আহবায়ক ওসমান খাঁনের অনুসারীদের মধ্যে এ সংঘর্ষ বাধে। আলতাফ হাওলাদার উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান।

শুক্রবার সকালে উপজেলার মেঘনা নদীর চান্দার খাল মাছঘাট ও দুপুরে খাসেরহাট আওয়ামী লীগের অস্থায়ী কার্যালয়ে দু’দফায় এ ঘটনা ঘটে।

আহতরা হলেন আতাউল গনি, সেলিম খান, জয়নাল আবেদিন খান, আবদুল লতিফ দেওয়ান, মোসলেহ উদ্দিন, আবদুল কাদের, ওসমান গনি, আবদুল মালেক, আলতাফ ব্যাপারী, আজগর সর্দার, কামাল হোসেন, সবুজ হাওলাদার, সুমন হাওলাদার, মফিজ সর্দার ও জাকির হোসেন। এর মধ্যে ৯ জনকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, চান্দার খাল এলাকায় নতুন একটি মাছঘাট দেয় আওয়ামী লীগ নেতা ওসমান খান। সকালে ওই মাছঘাট উদ্বোধন করতে গেলে আলতাফ হোসেনের লোকজন বাধা দেয়। এতে দু’পক্ষ সংঘর্ষ জড়িয়ে পড়ে। এ ঘটনার মীমাংসার জন্য তাদেরকে বৈঠকে বসার জন্য পুলিশের পক্ষ থেকে পরামর্শ দেয়া হয়। এরমধ্যেই দুপুরে খাসের হাট বাজারে আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে ফের দু’পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে উভয়পক্ষের ১৫ জন আহত হয়েছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলার মেঘনা নদীর চান্দার খাল এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে আওয়ামী লীগ নেতা আলতাফ হোসেন হাওলাদার মাছ ঘাট পরিচালনা করে আসছেন। গত উপজেলা নির্বাচনে তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী ছিলেন। এতে তার কমিটি বিলুপ্ত করে দেয় উপজেলা আওয়ামী লীগ। পরে ওসমান খানকে উত্তর চরবংশী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক কমিটি দেওয়া হয়। এরপর থেকে আলতাফ ও ওসমান অনুসারীদের মধ্যে দ্বন্দ্ব দেখা দেয়।

আলতাফ হোসেন হাওলাদার বলেন, উপজেলা নির্বাচনে নৌকার প্রার্থী বিজয়ের পর থেকে ওসমানের লোকজন ঘাট দখল করার পাঁয়তারা করছিল। ওই ঘাটে ১৪৬ জনের মালিকানা শেয়ার রয়েছে। তারা উপজেলা নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে কাজ করেছে। এজন্যই ওসমানের লোকজন ক্ষমতার দাপটে ঘাট দখল করতে গেছে। কিন্তু ঘাটের শেয়ারদাররা বাধা দেয়ায় তাদের ওপর হামলা করা হয়েছে।

আওয়ামী লীগ নেতা ওসমান খান বলেন, আমরা জোরপূর্বক কোনো ঘাট দখল করতে যাইনি। নতুন একটি মাছঘাট উদ্বোধনের জন্য আমার লোকজন চান্দার খাল এলাকায় যায়। এসময় আলতাফ হোসেনের লোকজন হামলা চালিয়ে তাদেরকে আহত করে। এ ঘটনার পরপরই মীমাংসার জন্য দু’পক্ষকে হাজিমারা পুলিশ ফাঁড়িতে ডাকেন। আমরা পুলিশ ফাঁড়িতে গেলে খাসেরহাট বাজারে আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে এসে তার লোকজন আবারও হামলা করে। দু’বারের হামলায় আমার ১০ জন লোক আহত হয়েছে।

এ ব্যাপারে হাজীমারা পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক (তদন্ত) আলমগীর হোসেন বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। এ ঘটনায় কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন