বিমান ছিনতাই কাণ্ডের অবসান

প্রতিবেদক : এমএন /আর
প্রকাশিত: ২৪ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ ৮:৪৬ অপরাহ্ণ

বিকেল ৫টা ৪০ মিনিটে শাহ আমানত বিমানবন্দরে বিমানের ওই ফ্লাইটটির জরুরি অবতরণ করানো হয়।

চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইট (বিজি-১৪৭) জরুরি অবতরণ করার পর নানা নাটকীয়তা শেষে এক অস্ত্রধারীকে আটক করা হয়েছে। 

আজ রোববার রাত পৌনে ৮টার দিকে বিমানবাহিনীর পক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়। 

বিমানবাহিনীর কর্মকর্তা এয়ার ভাইস মার্শাল মফিদুর রহমানের নেতৃত্বে সেনাবাহিনী, র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব), পুলিশের সম্মিলিত অভিযানে অস্ত্রধারীকে আটক করা হয়।

এয়ার ভাইস মার্শাল মফিদুর রহমান গণমাধ্যমকে বলেন, সেনাবাহিনীর বিশেষ কমান্ডো টিমের নেতৃত্বে পুলিশ, র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব) ও এপিবিএনসহ সম্মিলিত অভিযানে অস্ত্রধারীকে আটক করা হয়। অভিযানে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। সবাই নিরাপদে আছেন। পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক।

এর আগে বিকেল ৫টা ৪০ মিনিটে শাহ আমানত বিমানবন্দরে বিমানের ওই ফ্লাইটটির জরুরি অবতরণ করানো হয়। বিমানটির ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম হয়ে দুবাই যাওয়ার কথা ছিল। পরে সেটি থেকে নিরাপদে পাইলট ও যাত্রীদের নামিয়ে নেওয়া হয়। কিন্তু বিমানে তখনও দুই ক্রু ও সন্দেহভাজন ছিলেন বলে জানান সিভিল এভিয়েশন সচিব মহিবুল হক। 

এর আগে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সূত্র থেকে জানা গেছে, ঢাকা বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়নের পর পরই যাত্রীবেশে সশস্ত্র দুর্বৃত্ত বিমানের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার চেষ্টা করেন। পরে সেটি চট্টগ্রামের শাহ আমানত বিমানবন্দরে অবতরণ করানো হয়। ঘটনাস্থলে ফায়ার সার্ভিস ও অ্যাম্বুলেন্স মোতায়েন করা হয়। এছাড়া পুলিশ, র‍্যাব ও এপিবিএন সদস্যরা বিমানটি ঘিরে রাখে। 

প্রত্যক্ষদর্শী এক যাত্রী জানান, ‘অস্ত্র হাতে এক দুর্বৃত্ত ককপিটে ঢুকতে চাইলে পাইলটরা তাতে বাধা দেন। এ সময় একটি গুলির আওয়াজও তারা শুনতে পান। সন্দেহভাজন ওই ব্যক্তি নিজের বুকে বোমা বাঁধা আছে দাবি করে প্রধানমন্ত্রী এবং সরকারের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলতে চান।’ 

ওই বিমানের যাত্রী ছিলেন চট্টগ্রাম-৮ আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) মঈন উদ্দীন খান বাদল।তিনি বলেন, বিমানটির ছিনতাইকারী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে কথা বলতে চান।

মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন