পাকা সড়কে লক্ষ্মীপুরের গ্রামীণ জনপদও সমৃদ্ধ

প্রতিবেদক : এমএন/ এমএস
প্রকাশিত: ১৩ মার্চ, ২০২২ ৮:১৮ অপরাহ্ণ

গ্রাম হবে শহর আর শহর নগর। সরকারের এমন স্বপ্ন বাস্তবায়িত হতে চলেছে লক্ষ্মীপুরে। এরই ধারাবাহিকতায় অপ্রতিরোধ্য গতিতে চলছে জেলার উন্নয়ন কার্যক্রম। ফলে আর থাকবে না কোনো কাঁচা সড়ক। গ্রামের মেঠোপথও হচ্ছে পাকা। চলছে কালভার্ট-সেতুর কার্যক্রমও। শুধু তাই নয়, সামান্য বৃষ্টিতে যেন পানি না জমে সেজন্য ড্রেনেজ ব্যবস্থার কাজও চলছে সমানতালে। এসব কাজ শেষ হলে বদলে যাবে নারকেল-সুপারি আর সয়াবিনের রাজধানী লক্ষ্মীপুর জেলা।

সড়ক ও জনপথ বিভাগের তথ্যমতে, ১২ বছরের মধ্যে লক্ষ্মীপুরে সড়ক ও সেতু নির্মাণে ব্যয় হয়েছে চার হাজার ৯০ কোটি পাঁচ লাখ টাকা। এছাড়া বরিশাল- ভোলা-মজুচৌধুরীহাট সড়ক, লক্ষ্মীপুর শহর সংযোগ সড়ক, লক্ষ্মীপুর থেকে রামগতি চরআলেকজাণ্ডার সোনাপুর-মাইজদী সড়ক, মান্দারী থেকে দাসেরহাট সড়ক, মান্দারী-দাসেরহাট সড়কের সেতু, লক্ষ্মীপুর শহর সংযোগের তেরবেকি সেতু, হাজীগঞ্জ-রামগঞ্জ-লক্ষ্মীপুরের মণ্ডলতলী সেতুর নির্মাণকাজ চলমান ও কর্মপরিকল্পনায় রয়েছে। এসব সড়কে ব্যয় ধরা হয়েছে চার হাজার ২৫২ কোটি ৯ লাখ ৮১ হাজার টাকা এবং সেতু নির্মাণে ব্যয় ধরা হয়েছে চার হাজার ৯১৮ কোটি ৯৭ হাজার টাকা। এসব সড়কের পাশে রয়েছে ড্রেনেজ ব্যবস্থাও।

একই সঙ্গে লক্ষ্মীপুর শহর সংযোগ সড়কের কাজ চলমান। পরিকল্পনাধীন রয়েছে লক্ষ্মীপুর থেকে রামগতি চরআলেকজাণ্ডার-সোনাপুর-মাইজদী সড়ক। এভাবে জেলার রামগতি, রামগঞ্জ, রায়পুর, কমলনগর ও সদরসহ সর্বত্র চলছে সড়কের কাজ।

স্থানীয়রা জানায়, বরিশাল-ভোলা-মজুচৌধুরীহাট সড়ক প্রশস্ত হওয়ায় দক্ষিণাঞ্চলের প্রায় ২১ জেলার মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ, ব্যবসা-বাণিজ্যের উন্নয়ন ঘটবে। এ সড়কের কারণেই তৈরি হবে মেলবন্ধন। একসময় লক্ষ্মীপুর শহর থেকে মজুচৌধুরীহাট ঘাটে যেতে সময় লাগতো তিন ঘণ্টা। এখন সময় লাগবে মাত্র ২০ মিনিট।

সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী তুহিন আল মামুন জানান, বিগত সময়ের চেয়ে রাস্তাঘাট, কালভার্ট ও সেতু নির্মাণকাজ হয়েছে চোখে পড়ার মতো। প্রায় ১৫ হাজার কোটি টাকার কাজ হয়েছে। চলমান রয়েছে কয়েক হাজার কোটি টাকার কাজ।

এলজিইডির তথ্যমতে, ২০০৯ সালের ১৩ জানুয়ারি থেকে ২০২১ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত মোট উন্নয়ন প্রকল্প অনুমোদন করা হয়েছে চার হাজার ২৪টি। বিপুলসংখ্যক প্রকল্প বাস্তবায়নে ব্যয় ধরা হয়েছে দুই হাজার ১৮৯ কোটি ৯১ লাখ ৪৬ হাজার টাকা। এলজিইডির বাস্তবায়নে পল্লী সড়ক উন্নয়ন ১৭১৮ কিলোমিটার। যার ব্যয় হয়েছে ১২৮৮ কোটি ৫০ লাখ টাকা। পল্লীসড়ক মেরামতে ১২২৮ কিলোমিটারের জন্য বরাদ্দ হয়েছে ৩৯১ কোটি ৬৮ লাখ টাকা। ৪৯০ মিটার সেতু ও কালভার্ট নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে ৫১ কোটি ১৮ লাখ টাকা।

লক্ষ্মীপুর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও স্থানীয় এমপি অ্যাডভোকেট নূর উদ্দিন চৌধুরী নয়ন বলেন, আওয়ামী লীগ যখনই ক্ষমতায় আসে তখনই উন্নয়নের কাজ লেগে থাকে। শেখ হাসিনা সরকার এলেই রাস্তাঘাট, কালভার্ট-সেতুসহ বড় বড় মেগা প্রকল্প হয়। এরই প্রমাণ লক্ষ্মীপুরের দৃশ্যমান উন্নয়নের কাজ।

সূত্র:ডেইলি বাংলাদেশ

মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন