কঠোর লকডাউনেও কিস্তি আদায়!

প্রতিবেদক : এমএন /আর
প্রকাশিত: ২৩ জুন, ২০২১ ৮:৩২ অপরাহ্ণ

খুলনার পাইকগাছায় প্রশাসনের কঠোর লকডাউনের মধ্যে অধিকাংশ এনজিওগুলো জোর করে কিস্তির টাকা আদায় করছে। একপ্রকার বাড়িতে আবদ্ধ থাকা অবস্থায় আয়-রোজগার না থাকায় বিভিন্ন এলাকায় ঋণ গ্রহীতারা চরম বিপাকে পড়েছেন। রাতেও গ্রাহকের বাড়িতে হানা দেয় কর্মীরা।

এ ব্যাপারে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সমালোচনা শুরু হলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাৎক্ষণিকভাবে অধিকাংশ এনজিও কর্মকর্তাদের ঋণ আদায় বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছেন।

জানা যায়, উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে সাধারণ লোক বিভিন্ন এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে থাকে। মাসিক-সাপ্তাহিক হিসেবে এনজিওগুলো ঋণের কিস্তি আদায় করে থাকে। বর্তমান চলমান কঠোর লকডাউনের সময় সব ব্যবসা বাণিজ্য বন্ধ ও সাধারণ মানুষ একপ্রকার গৃহবন্দি অবস্থায় রয়েছে। আয়-রোজগারের পথ বন্ধের উপক্রম।

এরই মধ্যে অধিকাংশ এনজিওগুলো তাদের প্রদেয় ঋণের কিস্তি আদায়ে কঠোর অবস্থানে থাকায় সাধারণ মানুষ নাজেহাল হচ্ছে। অনেকেই কিস্তির সময় আসলে বাড়ি ছেড়ে অন্যত্রে গেলেও রাতে গিয়ে ঋণ আদায়ে চাপ দেয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

মঙ্গলবার রাতে রাড়ুলী ইউনিয়নের বিজ্ঞানী পিসি রায়ের বাড়ির সামনে ইব্রাহিম শেখের স্ত্রী সরবানু বেগম ঋণের টাকা না থাকায় বাড়ি থেকে অন্যত্র যান। দিনের বেলায় তাকে না পেয়ে একটি এনজিওর কিস্তি আদায়কারী রাতে তার বাড়িতে গিয়ে কিস্তির টাকা আদায়ে চাপ সৃষ্টি করে।

ওই এনজিওর ঋণ কর্মকর্তার সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি নিজের নাম ও কোনো তথ্য না দিয়ে সংযোগটি কেটে দেন।

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবিএম খালিদ হোসেন সিদ্দিকী জানান, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জানার পর অধিকাংশ এনজিওগুলোর সঙ্গে কথা বলেছি। এ ব্যাপারে প্রাথমিক পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। কিস্তি আদায় বন্ধে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন