মিয়ারবেড়ী বাজারে দোকান নিয়ে মারামারি, আহত ৯ 

প্রতিবেদক : এমএন /আর
প্রকাশিত: ১৯ জুন, ২০২৩ ২:০১ অপরাহ্ণ

লক্ষ্মীপুরে দোকান নিয়ে ৩ ভাইয়ের মারামারির ঘটনায় উভয়পক্ষের ৯ জন আহত হয়েছেন৷

সোমবার (১৯ জুন) সকাল ১০ টার দিকে সদর উপজেলার ভবানীগঞ্জ ইউনিয়নের মিয়ারবেড়ী বাজারে এ ঘটনা ঘটে। এসময় একটি পক্ষের আনা দামা, দা ও হাতুড়ি জব্দ করেছে বাজার পরিচালনা কমিটি।
আহতরা হলেন-সৌদি আরব প্রবাসী মমিন উল্যা, তার স্ত্রী সুমি বেগম, ভাগিনা মো. ইউছুফ ও শ্যালক মো. সুমন ও অপর পক্ষের হাবিব উল্যা, হেদায়েত উল্যা, ইব্রাহিম ও রিয়াজ। তাদেরকে ছাড়াতে গিয়ে মিয়ারবেড়ী বাজার পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মনির হোসেনও আহত হয়েছেন। তার শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
বাজার পরিচালনা কমিটি ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, ২০১৩ সালে পানি উন্নয়ন বোর্ডের জমি লিজ নিয়ে প্রবাসী মমিন মিয়ারবেড়ী বাজারে পূর্ব পাশে ২টি দোকান নির্মাণ করেন। দোকানগুলো তার ভাই হেদায়েত ও হাবিব ভাড়া নিয়ে ব্যবসা করে আসছেন। কিন্তু তাকে ভাড়ার টাকা দিচ্ছে না। ভাড়ার টাকা চাইলে তাকে মারধরের হুমকি দেয়। এতে সোমবার সকালে মমিন দোকানগুলোতে তালা লাগিয়ে দেয়। এনিয়ে উভয়পক্ষের মধ্যে বাগবিতন্ডা হয়। পরে বাজার পরিচালনা কমিটি এসে দোকানের তালা খুলে দিয়েছে। পরে বৈঠকে বসে ঘটনাটি সমাধান করা হবে বলে জানিয়েছেন বাজার পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মো. মনির হোসেন।
এর কিছুক্ষণ পরই মারামারিতে জড়িয়ে পড়ে। উভয়পক্ষের এলোপাতাড়ি কিল-ঘুষি ও লাথিতে ৮ জন আহত হয়। তাদেরকে ছাড়াতে গিয়ে বাজার কমিটির নেতা মনির আহত হন। মারামারিতে ব্যবহারের জন্য আনা দামা, দা ও হাতুড়ি জব্দ করেছে বাজার পরিচালনা কমিটি।
বাজার পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মনির হোসেন বলেন, ধারালো অস্ত্রগুলো জব্দ করে আমার অফিসে রাখা হয়েছে। তাদেরকে ছাড়াতে গিয়ে আমিও আহত হয়েছি। মারামারির ঘটনায় বিকেলে ভবানীগঞ্জ ইউপি চেয়ারম্যান ও বাজার কমিটির সভাপতি সাইফুল হাসান রনি বৈঠক ডেকেছেন। বৈঠকে এ বিষয়ে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
ভুক্তভোগী প্রবাসী মমিন উল্যা জানান, তার ভাইরা জোরপূর্বক তার দোকান ঘর দখল করে বসে আছে। এনিয়ে একাধিকবার বৈঠক হয়েছে। এরপর ও আমার ভাইরা আমার দোকান ঘর গুলো ছাড়ে না। আজ সকালে ক্ষিপ্ত হয়ে দোকান ঘরে তালা দিলে। বাজার কমিটি এসে তালা খুলে দেয় সমাধানের কথা বলে। এরপর কিছুক্ষণ পর আমার ভাইরা এসে আমার ওপর হামলা করে। এতে আমার স্ত্রী ও আহত হয়।
অভিযুক্ত হেদায়েত উল্যা জানান, আমার ভাই মমিন উল্যা নামে পানি উন্নয়ন বোর্ডে বরাদ্দকৃত দোকান ঘর গুলো। একসময় এ ঘরগুলো আমার বাবার ছিলো। আমার ভাই আমাদের বঞ্চিত করছে এ ঘরগুলো থেকে। একটি আমার ভাই করে আমি আমার টা ভাড়া দিয়েছি। এজন্য আমরা সময় চেয়েছি কিছুদিনের জন্য। এ কারণে আমার ভাই মমিন উল্ল্যা সকালে দেয়। এনিয়ে মারামারি হয়।
লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত (ওসি) মোসলেহ উদ্দিন বলেন, ঘটনাটি প্রবাসী মমিন আমাকে জানিয়েছেন। ঘটনাস্থল পুলিশ পাঠানো হয়েছে। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন