প্রতিবন্ধী নারীকে আশ্রয় দিয়ে শারীরিক সম্পর্ক!

প্রতিবেদক : এমএন/ এমএস
প্রকাশিত: ২২ জুন, ২০২০ ৩:৩০ অপরাহ্ণ

বরগুনার বামনা উপজেলা শহরে চার বছরের সন্তান নিয়ে ঘুরে বেড়ান মানসিক প্রতিবন্ধী মাসুমা আক্তার (৩৮)। জন্মের পর থেকে শিশুটি পিতৃপরিচয়হীনভাবে বেড়ে উঠছে বামনার ধুলো মাটিতে। আজও কেউ জানে না সন্তানটির বাবা কে? এমন কি মাসুমাও বলতে পারেন না কে তার সন্তানের জন্মদাতা? মানসিক প্রতিবন্ধী হলেও তিনি তার সন্তানকে আগলে রাখেন অন্য সব মায়ের মতো। সেই মাসুমা আবার অন্তঃসত্ত্বা। গর্ভে তার চার মাসের আর একটি সন্তান বেড়ে উঠছে। তবে কে তার গর্ভের এ সন্তানের জনক তা জানেন না তিনি। মাসুমা উপজেলার কালিকাবাড়ী গ্রামের মৃত ছাদের মোল্লার মেয়ে।

মাসুমা আবারও গর্ভবতী এই খবর এলাকাবাসী জানতে পেরে স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনকে জানায়। বামনা থানা পুলিশ গতকাল রবিবার রাতে মাসুমাকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।

মাসুমার পরিবারের অভিযোগ, বর্তমানে যে ঘরে মাসুমা তার সন্তান নিয়ে বসবাস করছে ওই ঘরের মালিক ষাটোর্ধো বৃদ্ধ মো. হাশেম মল্লিক তার গর্ভের সন্তানের জনক। সে উপজেলার ঢুষখালী গ্রামের মৃত লালু মল্লিকের সন্তান।

এ ঘটনায় আজ সোমবার (২২ জুন) সকালে মাসুমার বড় ভাই মো. ফারুক মোল্লা আশ্রয়দাতা মো. হাশেম মল্লিককে (৬৫) আসামি করে মামলা দায়ের করেছেন।

মাসুমার ভাই মো. ফারুক মোল্লা বলেন, আমার বোন মানসিক প্রতিবন্ধী। এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে হাশেম মল্লিক তাকে আশ্রয় দেওয়ার নামে আমার বোনটিকে প্রতিদিন যৌন নির্যাতন করতো। এ কারণেই সে অন্তঃসত্ত্বা হয়। আমার প্রতিবন্ধী বোনটির এ ধরনের ঘটনা যিনি ঘটিয়েছেন তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।

বামনা উপজেলা সুশাসনের জন্য নাগরিক (সনাক) নেতা ওবায়দুল কবির আকন্দ দুলাল বলেন, এই ঘটনার সাথে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা না হলে সমাজ আরো কলুষিত হবে।

বামনা থানার ওসি মো. ইলিয়াস তালুকদার বলেন, আমরা অভিযোগ পেয়ে ওই আশ্রয়দাতাকে আটক করেছি। পরে ভুক্তভোগী প্রতিবন্ধী নারীর ভাই মামলা দায়ের করলে সোমবার দুপুরে আসামিকে বরগুনা কোর্টে ও ওই নারীকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য বরগুনা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন