দিনাজপুরে ব্রোকলি চাষে লাভবান হচ্ছে কৃষক

প্রতিবেদক : এমএন/ এমএস
প্রকাশিত: ২০ জানুয়ারি, ২০২২ ৮:০০ অপরাহ্ণ

দিনাজপুর জেলার চিরিরবন্দর উপজেলার ব্রোকলির চাষে লাভবান হচ্ছে কৃষকেরা। রঙ ভিন্ন হলেও দেখতে ফুলকপির মত। বাজারে চাহিদা বাড়তে থাকায় সবুজ রঙের এই সবজির ভাল দাম পাচ্ছেন তারা।

দিনাজপুর কৃষি অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক প্রদীপ কুমার গুহ বৃহস্পতিবার (২০ জানুয়ারি) দুপুর দুইটার দিকে তার কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। এ সময় তিনি বলেন, ফুলকাপির মত দেখতে এই সবজিটি পুষ্টিগুণ ফুলকপির চেয়েও বেশি। ব্রোকলি অন্যান্য সবজি অপেক্ষা বেশি পুষ্টি সমৃদ্ধ।

জেলার সদর উপজেলার নশরতপুর গ্রামের মো. মতিয়ার রহমান দ্বিতীয় বারের মত এ সবজির আবাদ করেছেন। এ বছর ফলনও হয়েছে ভাল। নতুন জাতের এ সবজির কদরও রয়েছে। লোকজন উৎসাহ নিয়ে ব্রোকলি কিনছেন। ফলন ও বাজার দর ভাল পাওয়ায় ব্রোকলি চাষে হাসি ফুটেছে কৃষক মতিয়ার রহমানের মুখে।

অল্প খরচে ও সময়ে অধিক লাভ পাওয়ায় অন্যান্য কৃষকরাও এ জাতের সবজি চাষ আগ্রহ দেখাচ্ছেন। প্রথমবার লাভবান হওয়ায় আবারও তিনি এই ব্রোকলির চাষ করছেন। তাকে অনুকরণ করে এবার ওই অঞ্চলে অনেক কৃষক ব্রোকলি চাষ করছেন।

ব্রোকলি রোপণের ৬০-৭০ দিনের মধ্যে পুষ্পমঞ্জুরি সংগ্রহের উপযুক্ত সময় এসে যায়। ধারালো ছুরি দিয়ে তিন ইঞ্চি কান্ডসহ পুষ্পমঞ্জুরি কেটে সংগ্রহ করতে হয়। এভাবে একই জমি থেকে মাসব্যাপি কয়েকবার ব্রোকলি সংগ্রহ করা যায়। পুষ্পমঞ্জুরি মোটামুটি জমাট বাঁধা অবস্থায় সংগ্রহ করতে হয়। সঠিকভাবে পরিচর্যা করলে হেক্টরপ্রতি ফলন ১২-১৩ টন পাওয়া যায় বলে জানিয়েছে কৃষি বিভাগ।

দেশের প্রায় সব অঞ্চলেই ব্রোকলি চাষ করা যেতে পারে। সাধারণত যে ধরনের জলবায়ুতে ফুলকপির চাষ হয় সেখানে ব্রোকলি ভাল জন্মে। তবে ব্রোকলির পরিবেশ উপযোগিতার সীমা একটু বেশি বিস্তৃত। পানি জমে না এমন উঁচু জমি, উর্বর দো-আঁশ মাটি হলে ফলন ভালো পাওয়া যায়। ব্রোকলির গাছ ১৫-২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় সবচেয়ে ভালো জন্মে। সেচ ও পানি নিষ্কাশনের সুবিধা আছে এমন জমি ব্রোকলি চাষের জন্য নির্বাচন করতে হয়।

কৃষক মতিয়ার রহমান জানান, গত বছর রংপুরের সিও বাজার থেকে ব্রোকলির বীজ সংগ্রহ করেন। এ বছর ১২ শতক জমিতে ১ হাজার ২৬০টি ব্রোকলির চারা লাগিয়ে ভাল ফলন পেয়েছেন। তিনি প্রতি পিস ব্রোকলি পাইকারি ২০ টাকা দরে বিক্রি করেছেন। এছাড়াও তিনি ফুলকপি ও পাতাকপি চাষ করছেন।

মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন