বিরোধী দল হচ্ছি কিনা এখনও সিগন্যাল পাইনি: জিএম কাদের

প্রতিবেদক : এমএন/ এমএস
প্রকাশিত: ২০ জানুয়ারি, ২০২৪ ৬:৫৭ অপরাহ্ণ

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের বলেছেন, ‘বিরোধী দল হচ্ছি কি না- এখন পর্যন্ত কোনো সিগন্যাল পাইনি।’

সংসদে বিরোধী দল কে হচ্ছে- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের শনিবার (২০ জানুয়ারি) বিকালে রংপুরে নগরীর সেনপাড়াস্থ স্কাই ভিউ বাসভবনে তিনি এ কথা বলেন।

একই প্রসঙ্গে জিএম কাদের বলেন, ‘গতকাল (বৃহস্পতিবার) আমাদের সভা হয়েছে। জাতীয় পার্টির সংসদীয় দলের সিদ্ধান্ত হিসেবে আমাকে বিরোধী দলীয় নেতা, আনিসুল ইসলাম মাহমুদকে উপনেতা ও মুজিবুল হক চুন্নুকে বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ হিসেবে প্রস্তাব করে রেজুলেশন করা হয়েছে। রেজুলেশন আমরা স্পিকারের কাছে পেশ করেছি। আগামী ৩০ জানুয়ারি সংসদ অধিবেশনে কে হচ্ছে বিরোধী দল তা স্পিকার জানাবেন।’

তিনি বলেন, ‘সংসদে দেশ ও জনগণের স্বার্থে সত্যিকার অর্থে বিরোধী দলের ভূমিকা পালন করবে জাতীয় পার্টি। সংখ্যা বড় কথা নয়, আমরা আন্তরিকভাবে আমাদের ভূমিকা পালন করতে চাই।’

‘গত সংসদেও আমরা বিরোধী দলের ভূমিকায় ছিলাম। আমরা দেশ ও জাতির কল্যাণে সরকারের গঠনমূলক সমালোচনা করে বিরোধী দলের ভূমিকা পালনের চেষ্টা করেছি। নানা অনিয়ম-দুর্নীতি সংসদে তুলে ধরেছি। বর্তমান সংসদে আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টি প্রধান দুটি রাজনৈতিক দলের সংসদ সদস্যরাই বেশি নির্বাচিত হয়েছেন। জাতীয় পার্টি এ সংসদে ১১ জন সদস্য নিয়ে রয়েছে। আমরা আশা করছি, জাতীয় পার্টি বিরোধী দল হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারবে,’ যোগ করেন জিএম কাদের।

সাংবাদিকদের অপর এক প্রশ্নের জবাবে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান বলেন, ‘সংসদে সরকার যদি আমাদের কোনো ধরনের অবস্থা নাও দেয় তবুও সরকারের বিরুদ্ধে কথা বলার মতো একমাত্র দল হিসেবে আমরা থাকব। সরকারের সমালোচনা করব, যেগুলো খারাপ কাজ করছে তা তুলে ধরব। সঠিক পথে চলার জন্য সুপারিশ করে সরকারকে সহযোগিতা করব। আমরা যদিও জানি সার্বিকভাবে জাতীয় পার্টিই বিরোধী দল হওয়ার কথা।’

গেলো নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দলের নেতাকর্মীদের মাঝে ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে। ভোটে ভরাডুবির জন্য দলীয় চেয়ারম্যান জি এম কাদের, সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নুকে দায়ী করে তাদের পদত্যাগ দাবি করেন নেতাকর্মীরা।

এ নিয়ে জাতীয় পার্টিতে ভাঙনের শংঙ্কা রয়েছে কি-না জানতে চাইলে জাপা চেয়ারম্যান বলেন, ‘জনপ্রিয়তার কারণে প্রতিষ্ঠার পর থেকে জাতীয় পার্টির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র চলে আসছে। এ নির্বাচনের পর দলের নেতাদের ভুল তথ্য দিয়ে বিভ্রান্ত করা হয়েছিল। পরবর্তীতে তারা তাদের ভুল বুঝতে পেরেছে। আমি যেটা করেছি তা দলের নেতাদের আগামী রাজনীতিতে বড় ভূমিকা রাখবে। এর চেয়ে বিকল্প ভাল কিছু পদক্ষেপ আমার চোখে পড়েনি। এখন সবাই বিষয়টি উপলব্ধি করতে পেরেছে, তাই জাতীয় পার্টিতে ভাঙ্গনের কোন শংঙ্কা নেই।’

এ সময় জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান রংপুর সিটি করপোরেশন মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহানগর জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক এসএম ইয়াসির, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক, মহানগর জাতীয় পার্টির সহ-সভাপতি লোকমান হোসেন, জাহিদুল ইসলাম, জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় নেতা নুর আলম যাদু মিয়া, ছাত্রসমাজ কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি আল মামুনসহ স্থানীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন