সন্তানদের বিদ্যালয়ে পাঠিয়ে দুশ্চিন্তায় অভিভাবকরা

প্রতিবেদক : এমএন /আর
প্রকাশিত: ৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৮ ৭:৪৫ অপরাহ্ণ

বিশেষ প্রতিবেদক, মোহনানিউজ : লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার পূর্ব করইতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। অত্যাধুনিক ভবন নেই। বৃষ্টি আসলে বিদ্যালয়ের কক্ষে পানি পড়ে। ছুটি দিতে হয় শিক্ষার্থীদের। বিদ্যালয় আসার সড়কগুলোও কাঁদা মাটিতে ভরপুর। অনেক কষ্ট করে আসতে হয়। রয়েছে শিক্ষক সংকট। নেই প্রধান শিক্ষকও।

ঝুঁকিতে পাঠদান করতে হয়। সন্তানদের বিদ্যালয়ে পাঠিয়ে দুশ্চিন্তায় থাকেন অভিভাবকরা।
এবিষয়ে প্রতিবেদকের কথা হয় উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান মোল্লার সাথে। তিনি বলছেন চলতি অর্থ বছরে বিদ্যালয়ের অবকাঠামোর উন্নয়নের জন্য বরাদ্ধ দিবেন।


এদিকে ৭ জন শিক্ষক থাকার কথা থাকলেও আছেন ৪ জন। এরমধ্যে একজন বিদ্যালয়ে প্রশাসনিক কার্যক্রম দেখতে হয়। দায়িত্ব পালন করতে হয় ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের। এতে ক্রমেই শিক্ষার্থীদের পাঠদান ব্যাহত হচ্ছে। পড়াশোনায়ও পিছিয়ে পড়ছে তারা।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, গত ৫ বছরে সমাপনী পরীক্ষায় শতভাগ পাসের রেকর্ড গড়েছে বিদ্যায়লটি। কিন্তু শিক্ষক সংকেটর কারণে ভবিষ্যতে পাসের হার নিয়ে চিন্তিত অভিভাবকরা।

বিদ্যালয়টিতে একটি পাকা ভবন ও দুটি সেমিপাকা ভবন রয়েছে। এরমধ্যে সেমিপাকা ভবন দুটিই জরাজীর্ণ ও ঝুঁিকপূর্ণ। দেওয়ালের পলেস্তরাও খসে পড়ছে। চালায় বড় বড় ফুটো। বৃষ্টি এলেই বই খাতা ভিজে যায়। পাঠদানও বন্ধ থাকে। তপ্তরোদে গরমে অস্বস্থিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয় শ্রেণিকক্ষে। এছাড়াও নিরাপদ স্যানিটেশন ব্যবস্থা না থাকায় স্বাস্থ্যহানির শঙ্কা রয়েছে। বিদ্যালয়ের নিরপত্তার ব্যবস্থার জন্য নেই সীমানা প্রাচীর।

জানা গেছে, ১৮৯১ সালে বিদ্যালয়টি স্থাপিত হয়। এখানে একটি পাকা ও দুটি ঝুঁকিপূর্ণ সেমিপাকা ভবন রয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির জমির পরিমাণ ৫০ শতাংশ। এরমধ্যে ২০ শতাংশ জমিতে জলাশয় রয়েছে। মাটি ভরাটের অভাবে খেলাধুলার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে শিক্ষার্থীরা।

শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, শ্রেণিকক্ষে চালা থেকে তাদের গায়ে ময়লা পড়ে। বৃষ্টির সময় শ্রেণিকক্ষে পানি পড়ে তাদের বই-খাতা ভিজে যায়। এ কারণে পাঠদান সম্ভব হয়না। গরমের কারণেও শিক্ষার্থীদের অস্বস্থিতে পড়তে হয়।

বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো. জামাল উদ্দিন বলেন, বিদ্যালয়ের শিক্ষক সংকটে পাঠদান ব্যাহত হচ্ছে। এতে শিক্ষার্থীরা পড়াশোনায় পিছিয়ে পড়ছে। সমস্যাগুলোর বিষয়ে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। এখনো পর্যন্ত অবকাঠামো উন্নয়নে কোন উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।

সদর উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান মোল্লা বলেন, শিক্ষক সংকটের বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তপক্ষকে জানানো হয়েছে। খুব শীঘ্রই শূন্যপদগুলো পূরণ করা হবে। এছাড়া বিদ্যালয়ের দুটি ভবনের ৪টি শ্রেণিক্ষ জরাজীর্ণ ও ঝুঁকিপূর্ণ। আশাকরি এ অর্থ বছরেই এ সমস্যার সমাধান হবে।

মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন