হাতিয়ায় জোয়ারের পানিতে তিন হাজার মানুষ ঘরবন্দি

প্রতিবেদক : এমএন/ এমএস
প্রকাশিত: ১৮ আগস্ট, ২০২০ ৯:০৪ অপরাহ্ণ

নোয়াখালীর হাতিয়ায় অতিবৃষ্টির কারণে উপজেলায় চরঈশ্বর, সুখচর ইউনিয়নে ভাঙ্গাবেড়ি বাঁধ দিয়ে জোয়ারের পানি প্রবেশ করে ৬ গ্রামের ৩ হাজার মানুষ ঘরবন্দি হয়ে পড়েছেন। ঘরবন্দি মানুষ মানবেতর জীবনযাপন করছেন।

জানা যায়, গত কয়েক দিনের টানা বৃষ্টি ও জোয়ারের কারণে জেলার বিচ্ছিন্ন দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার মেঘনা নদীর পানি অস্বাভাবিক বৃদ্ধি পায়। ফলে ৫ দিন থেকে চরঈশ্বর, সুখচর ও নলচিরা ইউনিয়নে বন্যানিয়ন্ত্রণ বাঁধের (বেড়িবাঁধ) ভাঙা অংশ দিয়ে জোয়ারের পানি প্রবল স্রোতের মাধ্যমে প্রবেশ করে। এতে উপজেলার ৩টি ইউনিয়নের ৬টি গ্রাম প্লাবিত হয়ে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে অন্তত ৩ হাজার মানুষ। গত ৫ দিন যাবত পানিবন্দি হয়ে খাদ্যাভাবে মানবেতর জীবনযাপন করছেন তারা।

জোয়ারের পানিতে অনেকের বসতবাড়ি ডুবে যায়। তলিয়ে যায় ফসলি জমি, মাছের ঘের ও গবাদিপশুর আবাসস্থল। নলচিরা ঘাটের প্রায় ২০টি দোকান ঘর স্রোতের টানে পানিতে ভেসে যায়। জোয়ারের পানিতে অনেকের বাড়ির পুকুরের মাছ ভেসে যায়।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রেজাউল করিম জানান, গত কয়েক দিনের অতিবৃষ্টি ও পূর্ণিমার প্রভাবে মেঘনা নদীতে অস্বাভাবিক জোয়ারের পানিতে হাতিয়া উপজেলার ৩টি ইউনিয়নের লোকজন পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। আগামী ৩-৪ দিন পানি আরও বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে। পানি বৃদ্ধির ফলে প্রতিদিনই হাতিয়া উপজেলার নিম্নাঞ্চলে বাড়িঘর ও ফসলের মাঠ প্লাবিত হয়ে ক্ষতি হচ্ছে ফসল ও মৎস্য খামারের।

তিনি বলেন, এ তিনটি ইউনিয়নে ২ কিলোমিটার এলাকায় কোনো বেড়িবাঁধ নেই। এগুলো মেরামতের জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ডের মাধ্যমে মন্ত্রণালয়কে জানানো হয়েছে। বরাদ্দ এলে কাজ শুরু করা হবে।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী জানান, অনেক দিন আগেই এ বেড়িবাঁধের এস্টিমেট পাঠানো হয়েছে। কিন্তু কোনো বাজেট না আসায় বেড়িবাঁধের মেরামত বা নতুন বাঁধ করা সম্ভব হয়নি। বাজেটের বরাদ্দ পেলে আগামী শুষ্ক মৌসুমে কাজ করা যাবে।

মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন