স্ত্রী-মেয়েকে বাঁচাতে স্বামীর আকুতি

প্রতিবেদক : এমএন /আর
প্রকাশিত: ৪ নভেম্বর, ২০১৮ ৭:২৩ অপরাহ্ণ

বিশেষ প্রতিনিধি: রাজিয়া সুলতানা, বয়স ২৮। প্রায় ৮ বছর ধরে তিনি ক্যান্সারে আক্রান্ত। অর্থাভাবে যেখানে তার চিকিৎসা চালানো পরিবারের জন্য চরম কষ্টসাধ্য। তার ওপর নতুনভাবে যেন মাথা আকাশ ভেঙ্গে পড়ার অবস্থা পরিবারের ! ৮ মাস ধরে তার ১০ বছরের মেয়েটিও থ্যালাসেমিয়া রোগে ভুগছেন। স্ত্রী-মেয়ের চিকিৎসার খরচ বহনে দিনমজুর স্বামী আক্তার হোসেনের কান্না ছাড়া যেন কিছুই নেই। তাদের বাঁচাতে সরকারসহ সমাজের বিত্তবানদের কাছে সাহায্যের আকুতি জানিয়েছেন অসহায় পরিবারটি।

আক্তার হোসেন লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলার বামনী ইউনিয়নের সাইচা গ্রামের বাসিন্দা। তিনি কনফেকশনারী ব্যবসায়ী ছিলেন। স্ত্রীর চিকিৎসার খরচ চালাতে গিয়ে এক বছর আগে দোকানঘরসহ ব্যবসায় বিক্রি করে দিয়েছেন। এখন দিনমজুরের কাজ করছেন তিনি।

জানা গেছে, ভারতের খ্রিস্টিয়ান মেডিকেল কলেজ ভেলোর-৪ ই মেডিকেল বোর্ড বসিয়ে রাজিয়া সুলতানার চিকিৎসা চলছে। মেডিকেল বোর্ডের চিকিৎসকরা হলেন দেবাশিশ ডান্ডা, জন ম্যাথিউ, রুচিকা গল, সানদিয়া, আশিশ জেকব ম্যাথিউ ও অশিন এম নায়ার। রাজিয়া এখন তাদের চিকিৎসায় ওষুধ সেবন করে আসছেন। অন্যদিকে তার মেয়েটি থ্যালাসেমিয়া রোগে আক্রান্ত হয়ে ঢাকার কুর্মিটোলা জেনারেল হসপিটালের চিকিৎসক এমএজে মৃণাল কান্তি সরকার ও সিওএল মিমি পারভিনের চিকিৎসাধীন রয়েছে।

আক্তার হোসেন বলেন, চিকিৎসকরা বলেছেন-ওষুধের নির্ধারিত ৬ মাস শেষ হলে আবার ভারত হাসপাতালে নিতে হবে। এতে প্রায় ৩ লাখ টাকার প্রয়োজন। আমার মেয়েও অসুস্থ। তার চিকিৎসার খরচও চালানো চরম কষ্টকর। এ অবস্থায় স্ত্রীর চিকিৎসার খরচ চালানোর সামর্থ্যই এখন আমার নেই।

সহযোগিতা পাঠাতে পারেন
আক্তার হোসেন, হিসাব নম্বর- ২১৫২১০১০৯৪৮১৪, পূবালী ব্যাংক, মীরের হাট শাখা, রায়পুর, লক্ষ্মীপুর, বিকাশ ০১৭১২৫৫৯৪৮৭ (ব্যক্তিগত)।

মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন