পাপুলের স্ত্রী ও মেয়ের সম্পদের হিসাব চেয়ে দুদকের নোটিশ

প্রতিবেদক : এমএন/ এমএস
প্রকাশিত: ২৪ নভেম্বর, ২০২০ ৫:৫৭ অপরাহ্ণ

লক্ষ্মীপুর-২ আসনের সাংসদ কাজী সহিদ ইসলাম পাপুলের স্ত্রী এমপি সেলিনা ইসলাম ও মেয়ে ওয়াইফা ইসলামের সম্পদের হিসাব চেয়ে নোটিশ ইস্যু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মঙ্গলবার (২৪ নভেম্বর) দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে সম্পদের হিসাব চেয়ে পৃথক নোটিশ পাঠানো হয়েছে। দুদকের পরিচালক (জনসংযোগ) প্রণব কুমার ভট্টাচার্য্য বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

সংস্থাটির পরিচালক আকতার হোসেন আজাদের সাক্ষরিত নোটিশে তাদের নিজের এবং তাদের ওপর নির্ভরশীল ব্যক্তিবর্গের স্বনামে/বেনামে অর্জিত যাবতীয় স্থাবর/অস্থাবর সম্পত্তি, দায়-দেনা, আয়ের উৎস ও উহা অর্জনের বিস্তারিত বিবরণী চাওয়া হয়েছে। এ আদেশ পাওয়ার ২১ কার্যদিবসের মধ্যে নির্ধারিত ছকে দাখিল করতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

নোটিশে আরো বলা হয়, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সম্পদ বিবরণী দাখিল করতে ব্যর্থ হলে অথবা মিথ্যা বিবরণী দাখিল করলে দুদক আইনে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এদিকে, গত ১১ নভেম্বর পাপুল, তার স্ত্রী এমপি সেলিনা ইসলাম, শ্যালিকা জেসমিন প্রধান এবং মেয়ে ওয়াইফা ইসলামের বিরুদ্ধে দুদকের অনুসন্ধান কর্মকর্তা উপ-পরিচালক সালাহউদ্দিন বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন।

মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, দুই কোটি ৩১ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদ ও ১৪৮ কোটি টাকার লন্ডারিংয়ের অভিযোগ আনা হয়েছে আসামিদের বিরুদ্ধে। ২০১২ সাল থেকে ২০২০ পর্যন্ত জেসমিনের পাঁচটি হিসাবের মাধ্যমে লন্ডারিং হয় ১৪৮ কোটি টাকা। অথচ ২৩ বছর বয়সী জেসমিনের নিজের কোনো আয়ের উৎস নেই।

অন্যদিকে, এফডিআর হিসাবের দুই কোটি ৩১ লাখ ৩৭ হাজার ৭৩৮ টাকার কোনো উৎস জেসমিন দেখাতে পারেনি। সে কারণে অবৈধ সম্পদের অভিযোগে পাপুলসহ তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়।

প্রসঙ্গত, আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করে তা ভোগ দখলে রাখার অপরাধ প্রাথমিকভাবে প্রমাণ হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে দুদক আইন ২০০৪ এর ২৭ (১) ধারায় অভিযোগ এবং প্রায় ১৪৮ কোটি টাকা হস্তান্তর, রূপান্তর ও স্থানান্তরের মাধ্যমে মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনের ২০১২ এর ৪ (২) ও ৪ (৩) ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে এজাহারে।

মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন