৫ লাখ যুবলীগ নেতার পকেটে, বিদ্যুতের খবর নেই !

প্রতিবেদক : এমএন /আর
প্রকাশিত: ১ সেপ্টেম্বর, ২০২০ ৫:৩৮ অপরাহ্ণ

লক্ষ্মীপুরে সংযোগ পাইয়ে দেওয়ার নামে যুবলীগ নেতা সেলিম মাঝি পল্লী বিদ্যুৎ প্রত্যাশীদের কাছ থেকে অন্তত ৫ লাখ টাকা নিয়ে পকেট ভারি করেছেন। ২৬০ পরিবারের কাছ থেকে এ টাকা উত্তোলন করা হয়। সেলিম সদর উপজেলার তেওয়ারীগঞ্জ ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি। বিদ্যুৎ প্রত্যাশীরা দুই বছরেও সংযোগ না পাওয়ায় টাকা ফেরত চাইলে তাদেরকে হুমকি দেওয়া হচ্ছে।

 

মঙ্গলবার (১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে তেওয়ারীগঞ্জ ইউনিয়নের আন্ধারমানিক গ্রামের ভূক্তভোগী পরিবারগুলো সাংবাদিকদের কাছে এ অভিযোগ করেন।
স্থানীয়রা জানায়, দুই বছর আগে আন্ধারমানিক গ্রামের ২৬০টি পরিবারের কাছ থেকে সেলিম বিদ্যুৎ সংযোগ দিবে বলে অন্তত ৫ লাখ টাকা উত্তোলন করে। প্রত্যেক পরিবার থেকে ১ থেকে ৩ হাজার টাকা করে নেওয়া হয়। কিন্তু প্রতিটি মিটারের জন্য সরকার নির্ধারিত খরচ ৪৫০ টাকা। সংযোগের আশায় গ্রাহকরা নিজ উদ্যোগ ঘরে ওয়ারিং করে রেখেছে। ইতিমধ্যে ওই গ্রামে খুঁটিতে বিদ্যুতের সংযোগ স্থাপন করা হয়েছে। সেলিম গ্রাহকদের কাছ থেকে টাকা নিলেও অফিসে অবেদন না করায় পরিবারগুলো বিদ্যুৎ সংযোগ পাচ্ছে না।

 

মোজাম্মেল হোসেন রনি, মো. সবুজ ও সুলতান মাহমুদ ফয়েলসহ স্থানীয়দের অভিযোগ, যুবলীগ নেতা সেলিম ক্ষমতা দেখিয়ে বিদ্যুৎ পাইয়ে দিবে বলে গ্রামবাসীর কাছ থেকে টাকা নিয়েছে। কিন্তু কেউ বিদ্যুৎ সংযোগ পায়নি। প্রতিবাদ করায় সেলিম তাদেরকে মারধর ও মামলা দিয়ে হয়রানি করার হুমকি দিচ্ছে।

 

সেলিম মাঝি বলেন, যারা ৩ হাজার টাকা করে দিয়েছে তাদেরকে আমি সংযোগ দিয়েছি। পুরো টাকা না দেওয়ায় অন্যদের সংযোগের ব্যবস্থা করা হয়নি। গ্রাহকদের টাকা আমি খাইনি, অফিসেই জমা দিয়েছি।

 

তেওয়ারীগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ওমর হুসাইন ভুলু বলেন, প্রতারকের রাজনৈতিক পদবী বড় নয়, অপরাধটাই বিবেচিত। আমি সেলিমের বিরুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্তদের আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছি।

 

লক্ষ্মীপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সিনিয়র জেনারেল ম্যানেজার আবু তাহের বলেন, গ্রাহকরা সরাসরি অফিসে আবেদন করলে সংযোগ দেওয়া হয়। সেলিমের প্রতারণার বিষয়টি আমরা অবগত নয়। এ বিষয়ে অভিযোগ করলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন