লক্ষ্মীপুরে ব্যবসায়ীর জমি দখলে ৩ পরিবার অবরুদ্ধ

প্রতিবেদক : এমএন/ এমএস
প্রকাশিত: ৫ জানুয়ারি, ২০২১ ৬:৩১ অপরাহ্ণ

নিজস্ব প্রতিবেদক: লক্ষ্মীপুরে আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে এক ডেকোরেটর ব্যবসায়ী আমানতদের জমিতে নিরাপত্তা দেয়াল নির্মাণ করা হয়েছে। এতে চলাচলের পথ বন্ধ হয়ে ভূক্তভোগী ব্যবসায়ী আমানত উল্যাসহ ৩ পরিবার অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে। মঙ্গলবার (৫ জানুয়ারি) দুপুরে ভূক্তভোগী পরিবারগুলো সাংবাদিকদের সহযোগীতা চেয়ে ভোগান্তি নিরসনসহ জমি উদ্ধারের দাবি জানিয়েছেন।

ভূক্তভোগী আমানত সদর উপজেলার উত্তর হামছাদী ইউনিয়নের হামছাদী গ্রামের মৃত হেদায়েত উল্যার ছেলে ও কাজিরদিঘীরপাড় বাজারের ডোকোরেটর ব্যবসায়ী।

 

অভিযোগ সূত্র জানায়, ২০১৩ সালে আমানত তার ভাই আবদুর রহিম ও আহছান উল্যা বাড়ির সামনে ৩ শতাংশ জমি ক্রয় করেন। তারা চাচাতো ভাই মফিজ উল্যার কাছ থেকে ২ লাখ ৮৫ হাজার টাকা দিয়ে এ জমিটি নিয়েছিলেন। কিন্তু মফিজের ভাই সিরাজ ও তার ছেলেরা জোরপূর্বক ওই জমিতে গত ১৪ ডিসেম্বর জোরপূর্বক দেয়াল নির্মাণ করে। এতে তাদের চলাচলের পথ বন্ধ হয়ে পড়ে। এ ঘটনায় গত ২৮ ডিসেম্বর অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে (সদর) অভিযোগ করা হয়। বিচারক অভিযোগটি আমলে নিয়ে নির্মাণ কাজ বন্ধ করে শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে সদর থানার ওসিকে নির্দেশ দেয়। এ প্রেক্ষিতে থানার এএসআই সাখাওয়াত হোসেন ঘটনাস্থলে গিয়ে নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দেয়। কিন্তু পুলিশ পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে চলে আসার পর তারা পুনরায় নির্মাণ কাজ শুরু করে। আদালতে দায়ের করা অভিযোগে সিরাজ উল্যা, মফিজ উল্যা, রাজু হোসেন ও মোহনের নাম উল্লেখ করে আরও অচেনা ১০ জনকে অভিযুক্ত করা হয়।

জানতে চাইলে জমি বিক্রয়ের স্বাক্ষী রুস্তম আলী জানান, চৌহদ্দি অনুযায়ী সিরাজরা জোরপূর্বক আমানতদের জমিতে দেয়াল নির্মাণ করেছে। ঘটনাটি সমাধানের জন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ প্রয়োজন।

অবরুদ্ধ পরিবারের আবদুর রহিম ও আহছান উল্যা জানায়, চলাচলের পথে সিরাজরা দেয়াল নির্মাণ করে তাদের বাড়ি থেকে বের হওয়ার পথ বন্ধ করে দিয়েছে। এতে তারা নারী-শিশুসহ পরিবার নিয়ে চরম ভোগান্তি পোহাচ্ছেন। তাদের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হচ্ছে।

অভিযোগ অস্বীকার করে সিরাজের ছেলে রাজু হোসেন বলেন, আমাদের জমিতেই দেয়াল নির্মাণ করেছি। আমানতদের ক্রয় করা জমি দেয়ালের বাইরে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে তার দাবি।

সদর মডেল থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) সাখাওয়াত হোসেন জানান, আদালতের নির্দেশ পেয়ে ঘটনাস্থল গিয়ে কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। পরে প্রতিপক্ষের লোকজন জোরপূর্বক নির্মাণ কাজ আবার শুরু করার বিষয়টি ক্ষতিগ্রস্থরা আমাকে জানিয়েছে।

এ ব্যাপারে আমানতের আইনজীবী মনজুর আহমেদ বলেন, আদালতের ১৪৪ ধারা অমান্য করে আমানতদের জমিতে প্রতিপক্ষ দেয়াল নির্মাণ করেছে। এ ঘটনায় ১৮৮ ধারায় আদালতে আরেকটি অভিযোগ দাখিল করা হয়েছে।

মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন