রায়পুরে আ.লীগের দু’গ্রুপ মুখোমুখি

প্রতিবেদক : এমএন /আর
প্রকাশিত: ৩০ মার্চ, ২০১৯ ৯:২৬ অপরাহ্ণ

নিজস্ব প্রতিবেদক: লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলার উত্তর চরবংশী ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের দু’গ্রুপের নেতাকর্মীরা মুখোমুখি অবস্থান করছে। তৃতীয় ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বিজয়ী চেয়ারম্যান মামুনুর রশিদ (নৌকা) ও তার প্রতিদ্বন্দ্বি আলতাফ হোসেন হাওলাদারের (মোটর সাইকেল) পক্ষে নেতাকর্মীরা এখানে বিভক্ত রয়েছে।


নির্বাচনের জের ধরে ইতোমধ্যে সমর্থকের গরু লুট, নেতাকর্মীদের ওপর হামলা ও দলীয় কার্যালয় ভাংচুরের ঘটনাও ঘটেছে। এনিয়ে অভিযোগ,পাল্টা অভিযোগে উত্তপ্ত হয়ে ওঠেছে স্থানীয় রাজনীতি। মামুনুর রশিদ উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি, আলতাফ হাওলাদার উত্তর চরবংশী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান।


এদিকে যে কোন সময় বিজয়ী প্রার্থী ও প্রতিদ্বন্দ্বির নেতাকর্মীদের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশংকা করছেন স্থানীয় লোকজন। অপ্রীতি ঘটনা এড়াতে বুধবার (২৭ মার্চ) থানার ওসি জনপ্রতিনিধিসহ স্থানীয়দের সঙ্গে মতবিনিময় করেছেন। এসময় উভয় গ্রুপকে শান্ত থাকার জন্য কঠোর হুশিয়ারি দেওয়া হয়।


দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আওয়ামী লীগ থেকে চেয়ারম্যান মনোনয়ন দেওয়া হয় মামুনুর রশিদকে। মনোনয়নবঞ্চিত হয়ে স্বতন্ত্র ভোট করেন আলতাফ হাওলাদার। এজন্য ১৫ মার্চ আলতাফ হাওলাদারের উত্তর চরবংশী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের কমিটি বিলুপ্ত করা হয়। সেখানে ওসমান খানকে আহবায়ক করে নতুন কমিটি ঘোষণা করে। এরপর থেকেই ওই ইউনিয়নের নেতাকর্মীরা বিভক্ত হয়ে সংঘাতে জড়াচ্ছে।


খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলার ওই ইউনিয়নের খাসেরহাটে বৃহস্পতিবার (২৯ মার্চ) রাতে আলতাফ হাওলাদারের অনুসারী জেলা মৎস্যজীবী সমিতির সভাপতি মোস্তফা বেপারি, আওয়ামী লীগ কর্মী আবু সুফিয়ান ও মনোয়ার হোসেনকে মারধর করা হয়। মামুনুর রশিদের অনুসারীরা এ হামলা চালিয়েছে বলে আহতদের অভিযোগ। আহতরা স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা নিচ্ছেন।


ওই রাতেই দুর্বৃত্তরা নির্বাচনকে ঘিরে নতুনভাবে গড়ে ওঠা খাসেরহাটে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ অস্থায়ী কার্যালয়ে চেয়ার ও টেবিল ভাংচুর করে। হামলায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি নিচে পড়ে থাকতে দেখা গেছে।


এ ঘটনায় শুক্রবার (২৯ মার্চ) রাতে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক ওসমান খাঁন বাদী হয়ে যুবলীগ নেতা মোখলেছুর রহমান পান্নুসহ ৬৫ নেতাকর্মীর নামে থানায় লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন।
আলতাফ হাওলাদারের কর্মী চর ইন্দরিয়া গ্রামের সবুজ মাঝির অভিযোগ, মোটর সাইকেল মার্কার নির্বাচন করায় মামুনুর রশিদের লোকজন তাকে একাধিকবার হুমকি দিয়েছে। ২৪ মার্চ ভোটের রাতে মামুনুর রশিদের অনুসারীরা তাকে বাড়িতে খুঁজে না পেয়ে একটি গরু নিয়ে গেছে। পরে তারা গরুটি পাশের সয়াবিন ক্ষেতে জবাই করে মাংস লুটে নিয়েছে। পুলিশ, চেয়ারম্যান, মেম্বার সরেজমিন এসে দেখে গেছে। এ ঘটনায় বিচার চেয়ে পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছে।


মামুনুর রশিদের অনুসারি উত্তর চরবংশী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক ওসমান খাঁন বলেন, আমরা রাতে মসজিদে নামাজ পড়তে গিয়েছিলাম। এসে দেখি আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের চেয়ার-টেবিল, বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি ভাংচুর করা। কারা, কী কারণে কার্যালয়ে ভাংচুর করেছে তা নিশ্চিতভাবে জানাতে পারেননি তিনি। তবে মোস্তফাসহ অন্যদেরকে লেনদেন ঘটনায় মারধর করা হয়েছে বলে ওই আওয়ামী লীগ নেতার দাবি।


আলতাফ হোসেন হাওলাদারের অনুসারি যুবলীগ নেতা আনোয়ার গাজী বলেন, আমাদের নির্বাচন করায় মামুনুর রশিদের লোকজন গরু লুট, নেতাকর্মীদের ওপর হামলা চালাচ্ছে। তারা নিজেরা পরিকল্পিতভাবে অফিস ভাংচুর করে নাটক সাজিয়েছে। আমাদের নেতাকর্মীদের হয়রানি করা হচ্ছে।
রায়পুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এ কে এম আজিজুর রহমান মিয়া বলেন, কার্যালয় ভাংচুরের বিষয়ে দুই ধরণের বক্তব্য শোনা যাচ্ছে। বিষয়টি গুরুত্ব সহকারের তদন্ত করতে হাজীমারা পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শককে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। অপ্রীতি ঘটনা এড়াতে জনপ্রতিনিধিসহ স্থানীয়দের সঙ্গে মতবিনিময় করা হয়েছে। এসময় উভয় গ্রুপকে শান্ত থাকার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়।

এরপর থেকেই ওই ইউনিয়নের নেতাকর্মীরা বিভক্ত হয়ে সংঘাতে জড়াচ্ছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলার ওই ইউনিয়নের খাসেরহাটে বৃহস্পতিবার (২৯ মার্চ) রাতে আলতাফ হাওলাদারের অনুসারী জেলা মৎস্যজীবী সমিতির সভাপতি মোস্তফা বেপারি, আওয়ামী লীগ কর্মী আবু সুফিয়ান ও মনোয়ার হোসেনকে মারধর করা হয়। মামুনুর রশিদের অনুসারীরা এ হামলা চালিয়েছে বলে আহতদের অভিযোগ। আহতরা স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা নিচ্ছেন।


ওই রাতেই দুর্বৃত্তরা নির্বাচনকে ঘিরে নতুনভাবে গড়ে ওঠা খাসেরহাটে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ অস্থায়ী কার্যালয়ে চেয়ার ও টেবিল ভাংচুর করে। হামলায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি নিচে পড়ে থাকতে দেখা গেছে।


এ ঘটনায় শুক্রবার (২৯ মার্চ) রাতে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক ওসমান খাঁন বাদী হয়ে যুবলীগ নেতা মোখলেছুর রহমান পান্নুসহ ৬৫ নেতাকর্মীর নামে থানায় লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন।
আলতাফ হাওলাদারের কর্মী চর ইন্দরিয়া গ্রামের সবুজ মাঝির অভিযোগ, মোটর সাইকেল মার্কার নির্বাচন করায় মামুনুর রশিদের লোকজন তাকে একাধিকবার হুমকি দিয়েছে।

২৪ মার্চ ভোটের রাতে মামুনুর রশিদের অনুসারীরা তাকে বাড়িতে খুঁজে না পেয়ে একটি গরু নিয়ে গেছে। পরে তারা গরুটি পাশের সয়াবিন ক্ষেতে জবাই করে মাংস লুটে নিয়েছে। পুলিশ, চেয়ারম্যান, মেম্বার সরেজমিন এসে দেখে গেছে। এ ঘটনায় বিচার চেয়ে পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছে।


মামুনুর রশিদের অনুসারি উত্তর চরবংশী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক ওসমান খাঁন বলেন, আমরা রাতে মসজিদে নামাজ পড়তে গিয়েছিলাম। এসে দেখি আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের চেয়ার-টেবিল, বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি ভাংচুর করা। কারা, কী কারণে কার্যালয়ে ভাংচুর করেছে তা নিশ্চিতভাবে জানাতে পারেননি তিনি। তবে মোস্তফাসহ অন্যদেরকে লেনদেন ঘটনায় মারধর করা হয়েছে বলে ওই আওয়ামী লীগ নেতার দাবি।


আলতাফ হোসেন হাওলাদারের অনুসারি যুবলীগ নেতা আনোয়ার গাজী বলেন, আমাদের নির্বাচন করায় মামুনুর রশিদের লোকজন গরু লুট, নেতাকর্মীদের ওপর হামলা চালাচ্ছে। তারা নিজেরা পরিকল্পিতভাবে অফিস ভাংচুর করে নাটক সাজিয়েছে। আমাদের নেতাকর্মীদের হয়রানি করা হচ্ছে।


রায়পুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এ কে এম আজিজুর রহমান মিয়া বলেন, কার্যালয় ভাংচুরের বিষয়ে দুই ধরণের বক্তব্য শোনা যাচ্ছে। বিষয়টি গুরুত্ব সহকারের তদন্ত করতে হাজীমারা পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শককে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। অপ্রীতি ঘটনা এড়াতে জনপ্রতিনিধিসহ স্থানীয়দের সঙ্গে মতবিনিময় করা হয়েছে। এসময় উভয় গ্রুপকে শান্ত থাকার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়।

মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন