রামগঞ্জে শিক্ষক পরিক্ষিত কোচিংয়ে মগ্ন, তদন্তের নির্দেশ

প্রতিবেদক : এমএন/ এমএস
প্রকাশিত: ২২ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ২:৩৪ অপরাহ্ণ

রামগঞ্জ সংবাদদাতা: রামগঞ্জ স্টেশন মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পরীক্ষিত বনিকের বিরুদ্ধে কোচিং বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে। তিনি ওই বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের নিয়মিত প্রাইভেট পড়ানোতে মগ্ন। তার পকেট ভারির এ বিষয় নিয়ে জেলা শিক্ষা অফিসারের কাছে লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে। সম্প্রতি বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির অভিভাবক সদস্য রূপা বনিক অভিযোগ করেন। বিষয়টি উপজেলা শিক্ষা অফিসারকে তদন্তের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

অভিযোগ ও বিদ্যালয় সূত্র জানায়, শিক্ষক পরীক্ষিত বনিক ২০১৮ সালে এ প্রতিষ্ঠানে যোগদান করেন। তিনি যোগদানের পর থেকে বিভিন্নভাবে প্রভাব বিস্তার করে শিক্ষকদের মাঝে গ্রুপিং করছেন। তিনি বিদ্যালয় ভবনের পাশেই কোচিং সেন্টার গড়েছেন। শিক্ষার্থীদেরকে নানা প্রলোভন ও পরিক্ষায় কম নম্বরের ভয় দেখিয়ে কৌশলে চালিয়ে যাচ্ছেন প্রাইভেট বাণিজ্য।তিনি বিদ্যালয়ের বাহিরে আলাদাভাবে কোচিং সেন্টার থেকে ৫ম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের বিদায় অনুষ্ঠান করে মাতামাতি করেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ৩ জন অভিভাবক জানায়, পরীক্ষিত স্যারের কাছে প্রাইভেট না পড়ালে তিনি ফেল করিয়ে দেন। ক্লাশে শিক্ষার্থীদেরকে অবহেলার দৃষ্টিকোন থেকে দেখেন৷ শিক্ষার্থীরা তাঁর কাছে কোচিং সেন্টারে বা প্রাইভেট পড়তে বাধ্য । তিনি সকাল বিকাল কোচিং ও প্রাইভেট নিয়েই ব্যস্ত থাকেন৷

অভিযুক্ত শিক্ষক পরীক্ষিত বনিক জানান, আমার পাশের রুমে জাহাঙ্গীর স্যার, স্কুলের ভিতর শেখ জাহাঙ্গীর আলম, মিজান স্যারসহ সবাই প্রাইভেট পড়ান। কিন্তু আমার বিরুদ্ধে কে বা কারা হিংসাপরায়ন হয়ে অভিযোগ করেছে।

ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এমরান হোসেন বলেন, অভিযোগ করা হয়েছে জেনেছি। বিষযটি শিক্ষা অফিসার তদন্ত করছেন। এ ব্যাপারে আমি কিছু বলতে পারবো না।

বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সহ-সভাপতি ও পৌরসভার কাউন্সিলর রাশেদুল আলম জানান, শিক্ষকরা প্রাইভেট ও কোচিং করায় এটা সত্য। তবে স্কুলে অথবা ক্লাশ টাইমে পড়ান কিনা সেটা আমাদের দেখার বিষয়। শিক্ষক স্কুল টাইমের আগে ও পরে কি করেন সেটাতো আমাদের দেখার বিষয় নয়। পরীক্ষিত বনিকের ব্যাপারে অভিযোগ হয়েছে সেটা জেনেছি।

রামগঞ্জ উপজেলা শিক্ষা অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ আবদুল মোহাইমেন জানান, স্টেশন মডেল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক পরীক্ষিত বনিকের বিরুদ্ধে প্রাইভেট ও কোচিং করানোসহ বিভিন্ন অনিয়মের বিষয়ে জেলা শিক্ষা অফিসার নিকট অভিযোগ হয়েছে। আমি জেলা শিক্ষা অফিসারের নির্দেশক্রমে তদন্ত করছি। শীঘ্রই তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়া হবে।

এ ব্যাপারে জেলা শিক্ষা অফিসার মুনছুর আলী জানান, অভিযোগ পেয়েছি। উপজেলা শিক্ষা অফিসারকে তদন্ত করে রিপোর্ট দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে। তদন্ত রিপোর্ট পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন