ভারতে জাতীয় খাবারের সম্মান পেতে যাচ্ছে খিচুড়ি

প্রতিবেদক : এমএন /আর
প্রকাশিত: ৪ নভেম্বর, ২০১৭ ১১:৪১ পূর্বাহ্ণ

শনিবার ভারতের দিল্লির বিজ্ঞান ভবন চত্বর ও ইন্ডিয়া গেটে চলবে ‘ওয়ার্ল্ড ফুড-২০১৭’। প্রায় ৫০টি দেশ আসছে এই খাদ্য উৎসবে। ‘থিম কান্ট্রি’ নিউজিল্যান্ড। ভারতের ২৮টি রাজ্যও আসছে নিজেদের সেরা খাবারের স্টল নিয়ে।

আর এই উৎসবেই কপাল খুলে যাচ্ছে বাঙালির এতিহ্যবাহী খাবার খিচুড়ির। খাদ্য উৎসবে খিচুড়িকে ‘জাতীয় খাবার’ হিসেবে সম্মানিত করতে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আনন্দবাজার পত্রিকা।

উৎসবের আগে অবশ্য পশ্চিমবঙ্গ আর ওড়িশাকে মৃদু সতর্ক করেছে প্রধানমন্ত্রীর সচিবালয়। বহুদিন ধরেই দুই রাজ্য পশ্চিমবঙ্গ আর ওড়িশার মধ্যে রসগোল্লা নিয়ে দ্বন্দ্ব। দুই রাজ্যেরই দাবি, তারাই রসগোল্লার জন্মভূমি। রসগোল্লার ভৌগোলিক নির্দেশক (জিআই) চেয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের শরণাপন্ন দুই রাজ্যই। এই অবস্থায় মোদির অফিস বাংলা ও ওড়িশাকে বলেছে, খাদ্য উৎসব চলাকালে যেন ‘রসগোল্লা’ নিয়ে কোনও বাড়াবাড়ি না করে তারা।

খিচুড়ি নানা রকমের হয়। তবে কেন্দ্রীয় সরকার মনে করে, সহজপাচ্য, আমজনতার এই খাবারে আছে সমস্ত খাদ্যগুণ। তাই খিচুড়িই হবে ভারতের খাবারের ‘মুখ’। ওই দেশে খিচুড়ির ইতিহাস বেশ পুরনো।

অনেকের মতে, সংস্কৃত শব্দ ‘খিচ্চা’ থেকে ‘খিচুড়ি’ শব্দের আবির্ভাব। ভূ-পর্যটক ইবন বতুতা, এমনকী আলেকজান্ডারের সময়েও গ্রীক ইতিহাসবিদেরা দেখেছিলেন, ভারতীয়রা চাল ও ডাল মিশিয়ে খেতে পছন্দ করেন। যা সম্ভবত বর্তমান খিচুড়ির আদি রূপ।

খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, খিচুড়িকে গোটা বিশ্বে জনপ্রিয় করতে চায় তারা। ‘জনতার খাবার’ বার্গার-পাস্তা যদি বিশ্বজয় করতে পারে, তা হলে খিচুড়ি কেন নয়? এত দিন বিদেশিরা ভারতীয় খাবার মানেই ‘কারি’ বুঝতেন। এ বার খাদ্য উৎসবে বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিরা যাতে সেখানেই হাতে-গরম ‘সুপারফুড’ চেখে দেখতে পারেন, তার জন্য অনুষ্ঠানের দিন ৮০০ কেজি খিচুড়ি রান্না করবে কেন্দ্র।

মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন