প্রেমের টানে জয়পুরহাটে শ্রীলঙ্কান নাগরিক

প্রতিবেদক : এমএন/ এমএস
প্রকাশিত: ২ অক্টোবর, ২০২২ ১২:১৪ অপরাহ্ণ

কথায় আছে প্রেম জাতি, ধর্ম বা কোন বাঁধা মানে না। তাইতো প্রেমের টানে হাজার মাইল পাড়ি দিয়ে প্রায় বাংলাদেশে ছুটে আসছেন ভিনদেশী তরুণ-তরুণীরা। এবার এক তরুণীর প্রেমের টানে উত্তরাঞ্চলের জেলা জয়পুরহাটে এসেছেন শ্রীলঙ্কান এক নাগরিক।

জয়পুরহাট সদর উপজেলার উত্তর পাথুরিয়া গ্রামের শাহাদুল ইসলামের মেয়ে রাহেনা বেগম (৩১) ২০১৪ সালে চাকরির জন্য জর্ডানে পাড়ি জমান। পরে তিনি একটি গার্মেন্টস কোম্পানিতে চাকরিতে যোগদান করেন। একই কোম্পানির সুপাইভাইজার হিসেবে চাকরি করতের শ্রীলংকান যুবক রোশান মিঠুন (৩৩)। চাকরির করার সুবাদে তাদের দুজনের পরিচয় হয়। এরপর গড়ে ওঠে তাদের প্রেম।

রাহেনা বেগম জানান, পারিবারিকভাবে অল্পবয়সে বিয়ে হয় আমার। আমার একটি সন্তানও রয়েছে। জর্ডানে যাওয়ার কিছুদিন পর আমার স্বামী আমাকে ডিভোর্স দেয়। পরে জর্ডানে আমার কোম্পানির সুপাইভাজার রোশানের সঙ্গে পরিচয় হয়। একপর্যায়ে আমাদের প্রেম হয়। দেড় বছর আগে নিজ দেশ শ্রীলংকায় ফিরে যান রোশান। এরপর আমরা বিয়ের সিদ্ধান্ত নিই। কিন্তু করোনাভাইরাসের কারণে তা আর সম্ভব হয়নি। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে আমি দেশে ফিরে আসি।

তিনি আরও জানান, এরপর ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কথা হয় আমাদের। তার পরিবারের সঙ্গেও আমার কথা হয়। এরপর রোশান ২২ সেপ্টেম্বর শ্রীলঙ্কা থেকে বাংলাদেশে আসেন। পরে তাকে ঢাকা বিমানবন্দর থেকে জয়পুরহাটের বাড়িতে নিয়ে আসি। দুই পরিবারের সবার সম্মতি ক্রমে ২৯ সেপ্টেম্বর অ্যাফিডেভিট করে আমরা বিয়ে করি।

শ্রীলংকান যুবক রোশান মিঠুন অল্প অল্প বাংলাতে বলেন, আমি বাংলাদেশ ও বাংলাদেশের মানুষকে খুব ভালোবাসি। আমি এখানে এসে বিয়ে করেছি। এখানেই থাকতে চাই।

উত্তর পাথুরিয়া গ্রামের প্রতিবেশী ইনু আরা বেগম বলেন, শ্রীলঙ্কান যুবক হলেও আমাদের বাংলাদেশের ছেলেদের মতো মনে হয়েছে। আমি প্রথমে বুঝতে পারিনি সে শ্রীলঙ্কার মানুষ।

আরেক প্রতিবেশী শাহাজান আলী জানান, প্রথমে একটু শুনে অবাক হলাম। জয়পুরহাটে আমাদের এই গ্রামে এসে শ্রীলঙ্কান এক যুবক রেহেনাকে বিয়ে করেছে। তাদের এই দাম্পত্য জীবন সুখী হোক।

এবিষয়ে রাহেনার বাবা শাহাদুল ইসলাম বলেন, আমার মেয়ে রাহেনা জর্ডানে থাকাকালীন রোশানের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। আমার মেয়ে আমাকে বিষয়টি জানায় পরে শ্রীলঙ্কান ছেলে রোশানের পরিবারের সঙ্গে আমি নিজে কথা বলি। তাদের কথা অনেক ভালো লেগেছে। একপর্যায়ে ছেলেটিকে আমি বাংলাদেশে আসতে বলি। এরপর তাদের বিয়ে দেয়া হয়।

মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন