নোয়াখালীতে আ.লীগের সভাপতি- সম্পাদক মুখোমুখি

প্রতিবেদক : এমএন/ এমএস
প্রকাশিত: ২১ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ২:২৭ অপরাহ্ণ

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জাকে দলীয় কার্যক্রম থেকে অব্যাহতি এবং বহিষ্কারের সুপারিশ নিয়ে বিবাদে জড়িয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যক্ষ এ এইচ এম খায়রুল আনম সেলিম ও সাধারণ সম্পাদক একরামুল করিম চৌধুরী।

জেলা সভাপতি সেলিম গণমাধ্যমকে কাদের মির্জার অব্যাহতি ও বহিষ্কারের সুপারিশ প্রত্যাহারের ঘোষণা দিলেও একরামুল করিম চৌধুরী সেলিমকে নীতিহীন আখ্যা দিয়ে অব্যাহতি ও বহিষ্কারের সুপারিশ বহাল আছে বলে তার ভেরিফাইড ফেসবুকে লাইভে এসে জানিয়েছেন।

শনিবার রাত ৯টা ২৭ মিনিটে একরামুল করিম চৌধুরী ফেসবুক লাইভে বলেন, ‘সেলিম ভাই (এ এইচ এম খায়রুল আনম সেলিম) ঢাকা থেকে এসে বললেন মির্জার বিরুদ্ধে একটা ব্যবস্থা নেয়া দরকার। সে হিসেবে আমরা মির্জার বিরুদ্ধে একটা অবস্থান নিয়েছি। এখন বলছেন, এটা প্রত্যাহার করে নেয়া হয়েছে। কিন্তু আমি আপনাদের বলতে পারি, আমার জানা মতে, আমি জানি না। কারণ একটা লোক অপরাধী- যে নোয়াখালীতে না সারা বাংলাদেশে আওয়ামী লীগকে ছোট করেছে। তাকে তো ছাড়া যায় না। তার বিরুদ্ধে আমরা অবস্থান নিয়েছি (জেলা আওয়ামী লীগ)। আমার সভাপতি কী অবস্থানে আছেন জানি না, ওনি নাকি বলছেন, প্রত্যাহার করে নিয়েছেন।’

একরামুল করিম চৌধুরী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতিকে নীতিহীন আখ্যা দিয়ে বলেন, ওনার অবস্থান, উনি আমাকে দিয়ে নির্দেশনা করলেন, পরে অবস্থান থেকে সরে দাঁড়ালেন। উনিও নীতিগতভাবে নীতিহীন হয়ে গেলেন। আমি আপনাদের বলি, ওনার অব্যাহতি আমরা রেখেছি। বিভিন্ন জায়গায় সেসব কথাবার্তা হচ্ছে, এগুলো ঠিক না। কারণ এ ধরনের লোককে দলের অবস্থানে রাখা উচিত না। তার অব্যাহতিটা বহাল রইল।’

এদিকে এ ব্যাপারে প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যক্ষ এ এইচ এম খায়রুল আনম সেলিম বলেন, ‘আমি নীতিহীন, উনি নীতিবান হয়ে কোটি কোটি টাকার মালিক হয়েছেন। রাজনীতি ওনাদের ব্যবসা। আমি একরামুল করিম চৌধুরীর সঙ্গে একমত নই। প্রধানমন্ত্রী এসব ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবেন।’

উল্লেখ্য, শনিবার সন্ধ্যায় কোম্পানীগঞ্জের বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জাকে সংগঠনের সব কার্যক্রম থেকে অব্যাহতি ও বহিষ্কারের সুপারিশ করে আবার দুই ঘণ্টা পর তা প্রত্যাহার করে নেন নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এ এইচ এম খায়রুল আনম সেলিম। তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, নোয়াখালী আওয়ামী লীগের শান্তিশৃঙ্খলার স্বার্থে আদেশটি প্রত্যাহার করা হলো।

মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন