কামাল চেয়ারম্যানের নির্দেশেই চালে হেরফের হয়েছে, বললেন ডিলার কাশেম

প্রতিবেদক : এমএন/ এমএস
প্রকাশিত: ১০ এপ্রিল, ২০২০ ৯:৪৯ অপরাহ্ণ

নিজস্ব প্রতিনিধি:
লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জে হতদরিদ্রদের খাদ্য বান্ধব কর্মসূচির ১০ টাকা কেজি দরের চাল বিক্রিতে ডিলার আবুল কাশেমের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। তবে ডিলার বলেছেন, ইউপি চেয়ারম্যান কামাল হোসেনের নির্দেশেই চাল বিক্রিতে হেরফের হয়েছে।কাশেম প্রকৃত কার্ডধারীদের চাল না দিয়ে বেশি দামে অন্যদের কাছে বিক্রি করে দিচ্ছেন। এতে হতদরিদ্ররা বঞ্চিত হচ্ছেন। ভেস্তে যাচ্ছে সরকারের উদ্দেশ্য।

অভিযোগের ভিত্তিতে গোয়েন্দা সংস্থা এনএসআই অভিযান চালিয়ে কয়েকটি বাড়ি থেকে ৭ বস্তা সরকারি চাল জব্দ করেছেন। পরে চালগুলো উপজেলা খাদ্যগুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসিএলএসডি) কাছে হস্তান্তর করা হয়। শুক্রবার (১০ এপ্রিল) বিকেলে উপজেলার চন্ডিপুর ইউনিয়নে ফতেহপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।এদিকে লোভী ডিলার কাশেমের চালবাজির ঘটনায় রাত ৯ টা পর্যন্ত কোন কার্যকরী ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এতে ক্ষুদ্ধ হয়ে উঠেছেন বঞ্চিত লোকজন। কাশেম চন্ডিপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ নেততা কামাল হোসেন ভূঁইয়ার অনুসারি হিসেবে পরিচিত।

উপজেলা খাদ্য অফিস সূত্র জানায়, খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় চন্ডিপুর ইউনিয়নের ৭১৫ জন কার্ডধারী রয়েছেন। প্রত্যেক কার্ডধারী ১০ টাকা কেজি দরে ৩০ কেজি করে চাল পাবেন। কিন্তু ডিলার কাশেম তাদের কাছে চাল বিক্রি না করে বেশি দামে বাইরে বিক্রি করছেন। এতে বস্তা প্রতি তিনি ১০০ থেকে ২০০ টাকা পর্যন্ত বেশি লাভ করছেন। এ অভিযোগের ভিত্তিতে এনএসআই অভিযান পরিচালনা করে বিভিন্ন বাড়ি থেকে ৭ বস্তা চাল জব্দ করেন। যাদের কারো খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির কার্ড নেই।
ডিলার আবুল কাশেম বলেন, ইউপি চেয়ারম্যানের নির্দেশেই আমি কার্ড ছাড়া লোকজনকে চাল দিয়েছি। এজন্য কিছু হেরফের হয়েছে ।
চন্ডিপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কামাল হোসেন ভূঁইয়া সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, আমি চালের এ ঘটনার সাথে জড়িত নয়। ডিলারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেছি।
এ ব্যাপারে উপজেলা খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসিএলএসডি) ইসমাইল হোসেন বলেন, জব্দ করা ৭ বস্তা চাল আমার কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। বিষয়টি ইউএনকে জানিয়েছি। অনিয়ম করায় কাশেমের ডিলারশিপ বাতিল করা হবে।

মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন