করোনায় ২৪ ঘণ্টায় আরও ৩৭ মৃত্যু, শনাক্ত ২২০২
দেশের বিভিন্ন বিভাগে করোনাভাইরাসে (কোভিড-১৯) আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৩৭ জন মারা গেছেন। তাদের মধ্যে পুরুষ ৩০ ও নারী ৭ জন। হাসপাতালে ৩১ ও বাড়িতে ৬ জনের মৃত্যু হয়। এ নিয়ে ভাইরাসটিতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল চার হাজার ৫১৬ জনে।
একই সময়ে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছেন আরও দুই হাজার ২০২ জন।ফলে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল তিন লাখ ২৭ হাজার ৩৫৯ জনে।
আজ (৭ সেপ্টেম্বর ) বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত করোনাভাইরাস বিষয়ক এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, করোনাভাইরাস শনাক্তে গত ২৪ ঘণ্টায় ৯২টি করোনা শনাক্তকরণ আরটি-পিসিআর ল্যাবরেটরিতে ১৫ হাজার ৪৮৮টি নমুনা সংগ্রহ ও ১৫ হাজার ৪১২টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এ নিয়ে মোট নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৬ লাখ ৪৪ হাজার ৭২০ জনে। এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন আরও ৩ হাজার ২৯৮ জন। এ নিয়ে মোট সুস্থ রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল ২ লাখ ২৪ হাজার ৫৭৩ জন।
আরও জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার তুলনায় রোগী শনাক্তের হার ১৪ দশমিক ২৯ শতাংশ। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষার তুলনায় রোগী শনাক্তের হার ১৯ দশমিক ৯০ শতাংশ। আর রোগী শনাক্ত তুলনায় সুস্থতার হার ৬৮ দশমিক ৬০ শতাংশ এবং মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৩৮ শতাংশ।
এ পর্যন্ত করোনায় মৃত্যুবরণকারী চারহাজার ৫১৬ জনের মধ্যে পুরুষ তিন হাজার ৫৩৪ (৭৮ দশমিক ২৬ শতাংশ) এবং নারী ৯৮২ জন (২১ দশমিক ৭৪ শতাংশ)।
বয়সভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা গেছে, মৃত ৩৭ জনের মধ্যে বিশোর্ধ্ব তিনজন, ত্রিশোর্ধ্বে দুইজন, চল্লিশোর্ধ্ব দুইজন, পঞ্চাশোর্ধ্ব নয়জন এবং ষাটোর্ধ্ব ২১ জন রয়েছেন।
বিভাগওয়ারী পরিসংখ্যান অনুসারে মৃত ৩৭ জনের মধ্যে ঢাকা বিভাগে ১৩ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ছয়জন, রাজশাহী বিভাগে দুইজন, খুলনা বিভাগে তিনজন, বরিশাল বিভাগে একজন, সিলেট বিভাগে চারজন, রংপুর বিভাগে সাতজন এবং ময়মনসিংহ বিভাগে একজন রয়েছেন।