আর কত কাঁদব: তনুর মা

প্রতিবেদক : এমএন /আর
প্রকাশিত: ১৭ ডিসেম্বর, ২০২০ ৭:৩৩ অপরাহ্ণ

বৃহস্পতিবার তনুর বাবা কুমিল্লা ক্যান্টনমেন্ট বোর্ডের অফিস সহায়ক ইয়ার হোসেনের সঙ্গে দেখা করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) ঢাকার একটি টিম। তারা দুই ঘণ্টা কুমিল্লা ক্যান্টনমেন্টে অবস্থান করে ঢাকায় ফিরে যান।

কুমিল্লা সোহাগী জাহান তনু হত্যার রহস্য উন্মোচিত না হওয়ায় মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছে তার মা-বাবা সহ পুরো পরিবার। বিচার আদৌ পাবেন কি না এ নিয়ে আশঙ্কার কথা বলেছেন তারা।

 

তনুর মা আনোয়ারা বেগম বলেন, ‘বারবার মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বদল ছাড়া আর কোনও আশার কথা শুনিনি। অসুস্থ হওয়াতে ক্যান্টনমেন্টে যেতে পারিনি। ভেবেছিলাম তারা (পুলিশ) গ্রামে এসে আমাদের সঙ্গে কথা বলবে। কিন্তু তারা আসার সময় পাননি। আর কত মেয়ের খুনের বিচারের জন্য কাঁদবো।’

 

বৃহস্পতিবার তনুর বাবা কুমিল্লা ক্যান্টনমেন্ট বোর্ডের অফিস সহায়ক ইয়ার হোসেনের সঙ্গে দেখা করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) ঢাকার একটি টিম।

 

সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত তারা কুমিল্লা ক্যান্টনমেন্টে অবস্থান করে ঢাকায় ফিরে যান।

 

মামলার তদন্তভার পাওয়ার পর গত ১৫ নভেম্বর তনুর বাবা ইয়ার হোসেনকে নিয়ে ঘটনাস্থল, তনুদের পুরোনো বাসভবন, সার্জেন্ট জাহিদের বাড়ি পরিদর্শন করে পিবিআইয়ের একটি দল।

 

এ বার শুধুমাত্র তনুর বাবার অফিস কক্ষ পরিদর্শন করেই ঢাকায় ফিরে গেলেন মামলার তদন্তকারী দল।

 

২০১৬ সালের ২০ মার্চ কুমিল্লা সেনানিবাসের পাওয়ার হাউসের অদূরে ঝোপের মধ্যে তনুর মরদেহ পাওয়া যায়। দ্বিতীয় দফা ময়নাতদন্ত ও তনুর জামায় পাওয়া সিমেন নিয়ে ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে তাকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয় বলে ধারণা করে সিআইডি। হত্যাকাণ্ডের পরদিন অজ্ঞাত কয়েকজনকে আসামি করে মামলা করেন তনুর বাবা ইয়ার হোসেন। হত্যার ৫৭ মাস পূর্ণ হচ্ছে ২০ ডিসেম্বর।

 

হত্যার প্রায় পাঁচ বছরে চারবার মামলার তদন্ত সংস্থা ও পাঁচবার তদন্ত কর্মকর্তা বদল হয়। প্রথম চারবার কুমিল্লা জেলা পুলিশের বিভিন্ন সংস্থা মামলার তদন্ত করলেও সর্বশেষ পিবিআইয়ের ঢাকার একটি টিমকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআই পরিদর্শক মজিবুর রহমান। এর আগে মামলা তদন্তের দায়িত্বে ছিলেন সিআইডি কুমিল্লা অঞ্চলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জালাল উদ্দিন আহমেদ।

 

পিবিআই প্রধান ডিআইজি বনজ কুমার মজুমদার বলেন, ‘আমরা খুব গুরুত্বের সঙ্গে মামলাটি তদন্ত করছি। তবে এখনও উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি নেই।’ (নিউজ বাংলা)

মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন