লক্ষ্মীপুরে স্বাস্থ্যকর্মীকে ডেকে নিয়ে মারধর করলো চেয়ারম্যান

প্রতিবেদক : এমএন/ এমএস
প্রকাশিত: ২ জুলাই, ২০২০ ৬:০৬ অপরাহ্ণ

নিজস্ব প্রতিবেদক: লক্ষ্মীপুরে এক ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ফেসবুকে পোস্ট দেওয়ার অভিযোগে চৌকিদার দিয়ে ডেকে এনে পরিবার পরিবকল্পনা বিভাগের পরিদর্শক আকবর হোসেনকে মারধর করা হয়েছে। সদর উপজেলার দিঘলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ মজিবুর রহমান এ ঘটনা ঘটিয়েছে। বৃহস্পতিবার (২ জুলাই) বিকেলে ভূক্তভোগী আকবর হোসেন সাংবাদিকদের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

জানা গেছে, বুধবার (১ জুলাই) সন্ধ্যায় দিঘলী ইউনিয়নের পশ্চিম দিঘলী বাজারে চেয়ারম্যান শেখ মজিব তার ব্যক্তিগত কার্যালয়ে আকবর হোসেনকে ডেকে আনে। এসময় ফেসবুকে অপ-প্রচারের অভিযোগ এনে আকবরকে চেয়ারম্যান মারধর করে। পরে আহত অবস্থায় আকবরকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। রাতেই চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে চন্দ্রগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ করা হয়।

আহত আকবর দিঘলী ইউনিয়নের পরিবার পরিকলল্পনা পরিদর্শক ও পশ্চিম দিঘলী গ্রামের মৃত মুক্তিযোদ্ধা মোজাম্মেল হক খানের ছেলে।

সূত্র জানায়, আকবরদের পাঠান বাড়ির পারিবারিক কবরস্থানে নিরাপত্তা দেওয়ালের জন্য জেলা পরিষদ থেকে সরকারিভাবে বরাদ্দ আসে। কিন্তু চেয়ারম্যান শেখ মজিব সেই বরাদ্দটি নিজের পারিবারিক কবরস্থানে ব্যয় করেন। এনিয়ে অচেনা ফেসবুক আইডিতে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে একটি স্ট্যাটাস দেওয়া হয়। এ ঘটনায় চৌকিদার টিটুর মাধ্যমে আকবরকে তার পশ্চিম দিঘলী বাজারে ব্যক্তিগত কার্যালয়ে ডেকে আনে। ওই ফেসবুক আইডি ও স্ট্যাটাসটি আকবর দেয়নি বলে জানালেও চেয়ারম্যান বিশ্বাস করেনি। একপর্যায়ে চেয়ারম্যান তাকে মারধর করে।

ভূক্তভোগী পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শক আকবর হোসেন বলেন, কে বা কারা ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছে তা আমি জানি না। এ ঘটনায় আইসিটি মামলা করার জন্য আমি চেয়ারম্যানকে বলেছি। এরপরও তিনি আমাকে মারধর করেছে। ঘটনাটি আমার উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিতসহ বিচারের দাবিতে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছি।

মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করে দিঘলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ মজিবুর রহমান বলেন, আকবর নামে বেনামে ফেসবুক আইডি খুলে আমিসহ মানুষের বিরুদ্ধে অপ-প্রচার চালিয়ে আসছে। সম্প্রতি আমার বিরুদ্ধেও অপ-প্রচার চালায়। এ ঘটনা নিয়ে তার সঙ্গে বাকবিতন্ডা হয়েছে। তাকে মারধর করার ঘটনাটি সত্য নয়। এছাড়া করোনাকালীন সময়ে আকবর দায়িত্ব পালনে অবহেলা করেছে।

মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন