মাশরাফীকে নিয়ে আপত্তিকর স্ট্যাটাস, সেই ডাক্তারকে বদলি

প্রতিবেদক : এমএন /আর
প্রকাশিত: ২৮ জুন, ২০১৯ ৪:২৩ অপরাহ্ণ

বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের অধিনায়ক ও নড়াইল-২ আসনের সংসদ সদস্য মাশরাফী বিন মোর্ত্তজাকে নিয়ে অবমাননাকর ফেসবুক স্ট্যাটাস দেয়া ডাক্তার ডা. একেএম রেজাউল করিমকে রাঙামাটি মেডিকেল কলেজে বদলি করা হয়েছে। ডা. একেএম রেজাউল করিম চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের হেমাটো অনকোলজি বিভাগের অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। 

বুধবার (২৬ জুন) রেজাউল করিমকে রাঙামাটি মেডিকেল কলেজে বদলির আদেশ দেয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়। মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য-শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের পার-১ অধিশাখার উপ-সচিব মোহাম্মদ মোহসীন উদ্দিনের স্বাক্ষরিত আদেশটি অবিলম্বে কার্যকর হবে বলে উল্লেখ করা হয়। 

বিগত ২৮ এপ্রিল ডা. একেএম রেজাউল করিম তার ফেসবুক ওয়ালে করা পোস্টে লেখেন, ‘বাংলাদেশের ডাক্তারদের বোল্ট (বোল্ড) করতেই বড়ই আনন্দ। ম্যাশ চিকিৎসার জন্য অনেকবার ডাক্তারদের ছুরি কাঁচির নিচে গেছেন। তাদের অনেক তোয়াজ করতে হইছে। সেই ডাক্তারের বংশবদ পাইছি এবার।’ যদিও এই স্ট্যাটাস নিয়ে সমালোচনা শুরু হলে নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টটি ডিয়েক্টিভেট করে দেন রেজাউল। 

এ ঘটনায় অভিযুক্ত চিকিৎসক রেজাউল করিমের বিরুদ্ধে স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়ের কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রাপ্তির তিন কর্মদিবসের মধ্যে তাকে কারণ দর্শানোর জন্য নির্দেশ দেয়া হয়।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব শামীমা নাসরীন স্বাক্ষরিত ওই প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়, ফেসবুক টাইমলাইনে সংসদ সদস্য মাশরাফি বিন মোর্ত্তজা সম্পর্কে অশালীন এবং অযাচিত ভাষা ব্যবহার করে পাবলিক পোস্ট দেয়া হয়েছে। একজন সরকারি কর্মকর্তা হিসেবে এ আচরণ অনুচিত ও অনভিপ্রেত উল্লেখ করে প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ‘এসব আচরণ সরকারি কর্মচারী আচরণ বিধিমালার পরিপন্থী যা সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ২০১৮ এর ৩ (খ) মোতাবেক ‘অসদাচরণ হিসেবে গণ্য।’

গত ২৫ এপ্রিল আকস্মিক নড়াইল সদর হাসপাতাল পরিদর্শনে যান স্থানীয় এমপি মাশরাফী। সে সময় হাজিরা খাতায় তিন চিকিৎসকের স্বাক্ষর না দেখে হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. আব্দুস শাকুর এবং পরে অনুপস্থিত সার্জারি বিশেষজ্ঞ ডা. আকরাম হোসেনের সঙ্গে মোবাইলে কথা বলেন এবং তাদের অনুপস্থিত থাকার কারণ জানতে চান। তারা এর কোনো সদুত্তর না দিতে পারলে ক্ষেপে যান মাশরাফী ও দায়িত্বে অবহেলার কারণে তিরস্কার করেন। 

মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন